Chemist Druggist association
রাজ্যের কেমিস্ট এবং ড্রাগিস্টদের সংগঠন আড়া-আড়ি ভাবে ভাগ হয়ে গেল। পুরনো সংগঠনের কমিটির দাবি তারা হিসেব বুঝে পায়নি। হিসাব পাবার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালো তারা নতুন সংগঠনের অফিসে। এ নিয়ে তীব্র ঝামেলার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
রাজ্যে কেমিস্ট্র এন্ড ড্রাগিস্ট সংগঠন সম্পূর্ণভাবে দুভাগ হয়ে গেল। পুরনো ত্রিপুরা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের , কোষাধক্ষ্য, সাধারণ সম্পাদক সহ আরো বেশ কিছু সদস্যরা বছর দেড়েক আগে তৈরি করেছেন নতুন সংগঠন অল ত্রিপুরা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। তাদের নতুন অফিস হয়েছে দুর্গাবাড়ি এলাকায়।
কিন্তু পুরনো সংগঠন ত্রিপুরা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান কর্মকর্তাদের অভিযোগ, এক সময় , এই নতুন সংগঠনের কোষাধক্ষ্য, সম্পাদক এবং সভাপতি, পুরনো সংগঠনের সভাপতি সম্পাদক এবং কোষাধক্ষ্য হিসেবে কাজ করেছেন। নতুন সংগঠন তৈরি করার সময় তারা পুরনো সংগঠনকে, দায়িত্ব না বুঝিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি হিসাব না দিয়ে আগরতলার দুর্গা বাড়ির সংলগ্ন এলাকায় নতুন সংগঠন শুরু করে দিয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার পুরনো সংগঠনের কর্মকর্তারা সহ ওই সংগঠনের সদস্যরা অল ত্রিপুরা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখাবার পাশাপাশি, তারা নতুন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ্য, সম্পাদক এবং সভাপতির কাছে পুরনো হিসেব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি জানাল। তাদের দাবি, পুরনো সংগঠনের প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা স্থায়ী আমানত রয়েছে। এবং নগদ আমানত রয়েছে ১৫ লক্ষ টাকারও বেশি। এইটা টাকার হিসাব পুরনো সংগঠনের নতুন কমিটি বুঝে পায়নি বলে তাদের দাবি। এদিকে, বৃহস্পতিবার আগরতলার দুর্গা বাড়ির সংলগ্ন নতুন সংগঠনের অফিসে বিক্ষোভ দেখানোর সময় পুরনো এবং নতুন কমিটির সদস্যদের মধ্যে তীব্র বাক বিতন্ডা শুরু হয়। এক সময় এই বচসাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয় অল ত্রিপুরা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট এসোসিয়েশনের নতুন অফিসে। অফিসের ভেতরে ঝামেলা চলছে এই খবর যায় আগরতলা পশ্চিম থানায়। সঙ্গে সঙ্গে এই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় আগরতলা পশ্চিম থানার পুলিশ আধিকারিকরা। তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ দিনের এই ঘটনা নিয়ে পুরনো সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক দাবি করলেন, একটা সংগঠন ভেঙ্গে দশটা সংগঠন হতে পারে। কিন্তু যারা প্রথম সংগঠনের পদাধিকার বলে হিসাব নিকাশ সমস্ত কিছু সামলেছে, তাদের দায়িত্ব পুরনো সংগঠনের নতুন কমিটিকে সমস্ত টাকা পয়সার হিসাব বুঝিয়ে দেওয়া। কিন্তু নতুন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ ও কমিটি সে কাজটা করেনি। অবিলম্বে টাকা-পয়সার হিসাব বুঝে নিতেই তারা এদিন দ্বিতীয় সংগঠনের অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। অপর দিকে নতুন কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুরনো কমিটির তরফ থেকে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা সমস্ত কিছু বুঝিয়ে দিয়ে নতুন সংগঠন তৈরি করেছেন। এবং এই নতুন সংগঠন সর্বভারতীয় সংগঠনের এফিলেটেড। এক্ষেত্রে পুরনো সংগঠনের কমিটি আদালতে গিয়ে কিছুই প্রমাণ করতে পারবেন না বলেন নতুন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষের দাবি।