Kamalasagar Devipur Awangadi school
অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রে দিদিমণির দায়িত্বে দিদিমণির মেয়ে
রাজ্যে যত দিন যাচ্ছে ততই তলানিতে গিয়ে ঠেকছে শিক্ষা ব্যবস্থা। অঙ্গনওয়ারী স্তর থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা স্তর অব্দি ছেয়ে গেছে দুর্নীতি। এবার আরও এক অবাক করার মতো কাণ্ড ঘটে গেল কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রে।
মায়ের জায়গায় মেয়ে শিক্ষিকা। তাও আবার মায়ের চাকুরী করা অঙ্গনওয়ারী সেন্টারের ড্রেস পরে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয় কমলাসাগর বিধানসভার দেবীপুর ২৬ কার্ড এলাকায়। যদিও শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে এলাকার প্রমিলাবাহিনী অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের ভেতর থেকে দিদিমনির মেয়েকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন নামে। ঘটনার বিবরনে জানা যায় দেবীপুর ২৬ কার্ড এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে একজন দিদিমণি এবং একজন হেল্পার দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছে। কিন্তু সেই দিদিমনি সঞ্জু সরকার বিরুদ্ধে এলাকার জনগণের দীর্ঘদিন যাবত অভিযোগ ছিল তিনি সময়মতো সেন্টারে আসছে না, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা করাতে পারছে না। এমনকি মিড ডে মিল খাওয়া নিয়েও অনেক অভিযোগ উঠেছিল। এলাকার জনগণের অভিযোগ দীর্ঘ নয় মাস যাবত মিড ডে মিলের খাবার সেই দিদিমণি আত্মসাৎ করে নিয়েছেন । এমনকি গর্ভবতী মহিলাদেরও বিদ্যালয়ের থেকে চাল দেওয়া হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেন্টারে চলে আসেন বিশালগড় সিডিপিও অফিসের ২ আধিকারিক। পরবর্তী সময়ে তথ্য সহকারে প্রমাণিত হয় সেই দিদিমনি সঞ্জু সরকার লেখাপড়া বলতে কিছু জানে না। এমনকি অ, আ, ক, খ অক্ষর ও বলতে পারেন না। দীর্ঘ নয়মাস যাবত মিড ডে মিলের খাওয়া ছাত্রছাত্রীদের না দিয়ে চুরি করে নিয়েছে তার তথ্য সহকারে প্রমাণিত হওয়ায় পরবর্তী সময়ে দুই আধিকারিক সেন্টারের দিদিমনি সঞ্জু সরকার সেন্টারে না আসতে বলে এবং হেলপারের উপর সম্পূর্ণ দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে যায়। কিন্তু আচমকা বৃহস্পতিবার সকালবেলা একমাস পর ঘরে বসে থাকা দিদি মনির মেয়ে সেন্টারে এসে হাজির হয় তাও আবার ড্রেস পরে। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এলাকার জনগণ।তাদের বক্তব্য যে দিদিমণিকে বিভিন্ন অভিযোগ পেয়ে সেন্টার থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তার মেয়ে কি করে সেন্টারে আসে কাজ করতে।পরবর্তী সময়ে তালা ঝুলিয়ে এলাকার প্রমিলাবাহিনী জানিয়ে দেয় নতুন দিদিমণি আসলেই তালা খোলা হবে। যদিও দিদিমনির মেয়ে জানান এলাকার প্রধানের অনুমতি নিয়েই সেখানে এসেছে। তবে কি এই ধরণের দুর্নীতি গুলিতে সরাসরি যুক্ত থাকছে পঞ্চায়েত প্রধানেরা ? কঠিন তদন্তের দাবী জানাচ্ছেন কমলাসাগর বাসী। দেখার বিষয় শিক্ষা দপ্তর এবার এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কি পদক্ষেপ গ্রহন করেন।