AIDSO demands strict punishment
লাফল প্রকাশের পরেই বেড়িয়ে আসে। লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে এই দুর্নীতি কাণ্ড ঘটিয়েছে এনটিএ কর্তৃপক্ষ। এই অভিযোগ তুলে নিট পরীক্ষা সম্পূর্ণ ভাবে বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেবার জন্যেও দাবী উঠতে শুরু করেছে দেশজুড়ে। এরই মধ্যে আজ ত্রিপুরা রাজ্যেও ছাত্র যুব সংগঠনের উদ্যোগে নিট পরীক্ষা নিয়ে দুর্নীতির বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা গেছে।
আজ AIDSO ত্রিপুরা রাজ্য সাংগঠনিক কমিটির পক্ষ থেকে NEET পরিক্ষার ফলাফলে ব্যাপক দুর্নীতি এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল ছাত্রছাত্রীদের কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করার দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনে এক বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়। সেখানে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক রামপ্রসাদ আচার্য্য সাংবাদিকদের সন্মুখে বলেন যে- এবছর নিট পরিক্ষার ফলাফলে অত্যন্ত বড়সড় কেলেঙ্কারি হয়েছে। লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA) । ফলাফল প্রকাশে দেখা যায় ৭২০ তে ৭২০ নম্বর পেয়েছে ৬৭ জন ছাত্র। এমনকি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৬জন সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। যা পূর্বে কখনো দেখা যায় নি। এ নিয়ে দেশজুড়ে ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক সহ সর্বত্র আন্দোলনে ফেটে পরেছে। অবশ্য সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী আন্দোলনের চাপে প্রশাসন কয়েকজনকে গ্রেপ্তার ও করেছে। তবে এখন পর্যন্ত মূল অপরাধীরা অধরা। তাই সংগঠন দাবী জানাচ্ছে – এই কেলেঙ্কারির বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে, NTA এর পরিবর্তে সরকারকেই এন্ট্রান্স পরিক্ষা নিতে হবে, দোষী ব্যক্তিদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং আগামী দিনে এধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
উক্ত দাবীগুলি নিয়ে আগামী ১৯ শে জুন দেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতির নিকটে অনলাইন এবং অফলাইন সাক্ষর সংগ্রহ করে স্মারকলিপি ও জমা দেওয়া হবে সর্বভারতীয় কমিটির পক্ষ থেকে, এমনটাই জানিয়েছেন তারা। সারা দেশের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ রক্ষার্থে এই রাজ্যের ছাত্র সমাজকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। শুধু ছাত্র ছাত্রীরাই নন, অভিভাবক মহল কে ও সজাগ হয়ে এই আন্দোলনে শামিল হতে হবে।
সাথে সাথে এই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করা সকল ছাত্রছাত্রীদের কলেজে ভর্তির গ্যারান্টির দাবি জানান এআইডিএসও সংগঠন।