Birendra Singh joins Congress
১০ বছর পর ঘরে ফিরলেন বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী বীরেন্দ্র সিং। সহধর্মিণী কে সাথে নিয়ে মঙ্গলবার কংগ্রেসে শামিল হলেন। বিজেপি কে জানালেন চিরতরে বিদায়।
ভারতের সব চাইতে বড় উৎসব নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই নির্ধারিত হবে কার হাতে দেওয়া যাবে দেশের সার্বিক দায়িত্ব ভার। আর তা নির্ধারণ করবেন আম জনতারাই। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল নিজের নিজের মতো করে জনগণের মনে জায়গা করে নিতে তৎপরতা জারি রেখেছে। যার ফলস্বরূপ প্রত্যেক দিনই কেউ না কেউ এ দল ছেড়ে ঐ দলে যোগ দান করছেন।
এরই মধ্যে বিজেপি শিবির ছেড়ে বহু বৃহৎ মাপের নেতৃত্ব বিরোধী শিবির গুলিতে যোগদান করে নিয়েছেন। বেশ কিছুদিন আগে বিজেপির এক নেতৃত্ব বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। এবার আবারো বিজেপি থেকে ভরসা হাড়িয়ে কংগ্রেসেই আস্থা জাহির করলেন আরও এক। উল্লেখ্য, তিনি বিজেপি সরকারে মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব ভার ও সামলেছেন। অতঃপর ১০ বছরের অভিজ্ঞতার নিরিখে এবার দল ছাড়তে বাধ্য হলেন। উনার সহধর্মিণী প্রেম লতা দেবী কে নিয়ে মঙ্গলবার যোগ দিলেন কংগ্রেসে। কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতৃত্ব রা এক সাংবাদিক সন্মেলনের মধ্যে দিয়ে উনাকে দলে বরণ করে নিয়েছেন। উত্তরীয় এবং ফুলের স্তবক দিয়ে উনাদের উভয় কে দলে বরণ করে নিয়ে কংগ্রেস দল্যি নেতৃত্ব রা উনাদের বক্তব্য প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য চৌধুরী বীরেন্দ্র সিং দীর্ঘদিন কংগ্রেসের নেতৃত্ব হিসেবে দায়ত্ব পালন করেছেন। ২০১৪ তে কংগ্রেসের প্রতি কিছুটা আস্থা হাড়িয়ে খানিকটা পরিবর্তনের লক্ষ্যে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যুক্ত হয়েছিলেন। এর পর মন্ত্রিত্ব ও পেয়েছেন তিনি। চৌধুরী বিরেন্দ্র সিং প্রথম মোদী সরকারের আমলে গ্রামীণ উন্নয়ন, পঞ্চায়েতি রাজ এবং পানীয় জল ও স্যানিটেশন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং দ্বিতীয় মোদী সরকারে তিনি বিজেপির সাংসদ ও ছিলেন।
এদিন কংগ্রেসে যুক্ত হলে নেতৃত্ব রা বলেন “ঘরে ফিরেছেন বীরেন্দ্র সিং”। এই উক্তির সমর্থনের পাশাপাশি তিনি বলেন , শুধু ঘরে ফেরা নয় বরং পুনরায় নিজের আদর্শে ফেরা হয়েছে উনার।
এদিন বীরেন্দ্র সিং একটি বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, যে কোনো রাজনীতিবিদ যে দলেই থাকুন না কেন বিরোধী দল কিংবা বিরোধী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কুমন্তব্য কিংবা অশ্লীল মন্তব্যের পক্ষে নন তিনি। বিজেপি থাকা কালীন ও তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এমন কোনো কটু উক্তি করেন নি। এখনো করবেন না। তবে উনার বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে দীর্ঘ ১০ বছর দেশে বিজেপি সরকারের পরিচালনা উনার মতাদর্শের কোথাও একটা অমিল থাকার কারণেই উনার এই দল ত্যাগ। তবে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে কংগ্রেসে শামিল হয়ে কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোট কে আরও শক্তিশালী করে তুলেছেন নেতৃত্ব , তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
একের পর এক নেতৃত্ব বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে শামিল হয়ে জাচ্ছেন। যা ইন্ডিয়া জোট কে আসন্ন নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা সুনিশ্চিত করতে অনেকটাই রসদ জোগাবে বলে মনে করছেন দলীয় নেতৃত্বরা।