Om Birla became speaker for 2ndphase
দুর্নীতি যখন শিরায় মিশে যায় তখন কোনো যুক্তি তর্ক বিদ্যা বুদ্ধি কাজে আসে না। বিজেপির ক্ষেত্রে ও এই একই অবস্থা। কোনো মতে কেন্দ্রে সরকার গঠন করে নেওয়ার পর এবার সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে একটা বিশাল ফ্যাক্টর ছিল কে হবেন সংসদের স্পিকার সেই বিষয় নিয়ে। যথারীতি ছলে বলে কৌশলে এখানেও নিজেদের ঝাণ্ডা পুঁতে দিতে এক চিমটে জমি ছারেনি বিজেপি। আজ বুধবার ছিল স্পিকার নির্বাচনের জন্যে ভোট দানের দিন। সংসদে উপস্থিত পক্ষ বিপক্ষ উভয় শিবিরের সাংসদেরা যথারীতি নিজেদের মতামত জানাবেন বলে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। সকাল ১১ টায় শুরু হয়েছিল ভোটাভুটি। এনডিএ – বিজেপির পক্ষ থেকে এবার ও মুখ ওম বিড়লা। অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোট এর পক্ষ থেকে ছিলেন কে সুরেশ।
শাসক বিজেপির একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা ছিলনা। বিরোধী দলীয় সাংসদের মধ্যে অনেকেই চেয়েছিলেন ‘ডিভিশন’ । কিন্তু দেওয়া হয়নি। অনৈতিক ভাবে আবারো সংসদে স্পিকার হলেন ওম বিড়লা। ১৯৭৬ সালের পর এই প্রথম স্পিকার এর জন্যে ভোট গ্রহন হয়েছে। যা ঐতিহাসিক বটে। এর আগে এতো বছর স্পিকার পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব কিংবা দ্বিমত দেখা যায়নি। পক্ষ ও বিপক্ষ উভয়ের সমর্থনেই এতকাল স্পিকার পদের জন্যে যোগ্য লোক কে বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিগত ৫ বছরে সংসদে ওম বিড়লার এক পাক্ষিক ভূমিকা দেখে এবার বিরোধীরা সরব হয়েছিলেন। তাতেও কাজ হলনা।
বিরোধী সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ স্পিকার নির্বাচনে বুল ডোজার চালিয়েছে বিজেপি। মানা হয়নি নিয়ম।“
সাধারণত, স্পিকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে যদি বিরোধী পক্ষ ডিভিশন চায় তবে তা দিতে বাধ্য প্রোটেম স্পিকার। এদিন ও বিরোধী দের বেশ কিছু সাংসদ ডিভিশন এর দাবী করেছিলেন। কিন্তু প্রোটেম স্পিকার সেই দাবিকে মান্যতা দেয়নি। বিরোধীদের মন্তব্য, একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নেই বলেই বেআইনি ভাবে স্পিকার নির্বাচন করা হয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার পদ টি অন্তত পক্ষে বিরোধী দের মধ্যে থেকে কাউকে দেওয়া হোক বলে দাবী তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব রাহুল গান্ধী। কিন্তু সে বিষয়ে ও কোনো আশ্বাস দেয়নি বিজেপি। উল্লেখ্য ২০১৯ সাল থেকে মোদী ২.০ জামানায় সংসদে কোনো ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হয়নি। এবার ও যে হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
ডেপুটি স্পিকার এর পদে বিরোধী দলীয় প্রার্থী কে বসানোর দাবী নিয়ে বিজেপির পাল্টা তোপ কংগ্রেস আমলে স্পিকার , ডেপুটি স্পিকার উভয়ই কংগ্রেসের ছিল। তাহলে আজ কেন তার দ্বিচারিতা হবে? স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ইঙ্গিত কোনদিকে।
তবে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় বার ওম বিড়লা কে স্পিকার এর দায়িত্ব দেবার পর ওম বিড়লা নিজের দায়িত্বে আবারো সেই এক পাক্ষিক ভূমিকায় অবতীর্ণ থাকেন নাকি কর্ম দায়িত্ব সমঝে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেন সেটাই দেখার বিষয়।