Mother asks for financial help of CM
একমাত্র সন্তানের চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্য প্রার্থনা চাইলেন গর্ভধারিণী মা। অর্থাভাবে অসুস্থ ছেলেকে সারিয়ে তুলতে অক্ষম তিনি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কৃপা দৃষ্টি চাইলেন।
জানা যায়, বিগত ২৭ দিন ধরে আইএলএস হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে দশম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্র। তার নাম শুভজিৎ দাস , বয়স ১৬ বছর, পিতার নাম বিশ্বজিৎ দাস। তার বাড়ি চড়িলাম ব্লকের উত্তর চড়িলাম গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরান বাড়ি এলাকায়।
শুভজিৎ বিশালগড় এভার গ্রীন ইনস্টিটিউটে দশম শ্রেণীতে পড়াশুনা করতো। ২০ মে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে বিশ্রামগঞ্জ বালুয়া ছড়ি এলাকায় রেল ব্রিজ থেকে বাইক সহ অনেক নিচে পড়ে যায় তিন বন্ধু। মারাত্মকভাবে আহত হয় শুভজিৎ। ২০ মে গভীর রাতে আগরতলা জিবিপি হাসপাতাল থেকে তাকে রেফার করা হয় আইএলএস হাসপাতালে। আইএলএস হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে ১৫ দিন পরে জ্ঞান ফিরে আসে তার। এখনো তার অবস্থা সংকটজনক। হঠাৎ হঠাৎ চোখ খুলে আবার চোখ বন্ধ হয়ে যায়। কোন কথা বলতে পারে না সে, কেবলই হাঁ করে তাকিয়ে থাকে।
বিগত ২৭ দিন ধরে আইএলএস হাসপাতালে চলছে তার চিকিৎসা, যা স্বভাবতই অনেকটা ব্যয় বহুল। আইএলএস হাসপাতালের বিল মেটাতে গিয়ে শুভজিৎ এর বাবা এবং মা সোনা গয়না হাঁস-মুরগি গবাদি পশু এমনকি নিজের বসত ঘর এবং বসত ঘরে জায়গাটুকু বন্ধক দিয়ে ১৪ লক্ষ টাকা বিল মিটিয়েছেন আইএলএস হাসপাতালে। সারাক্ষণ চোখের জল ফেলছে মা বাবা। আইএলএস হাসপাতালের চিকিৎসকরা এখন কোন কিছু জিজ্ঞেস করলে ঈশ্বরের দিকে হাত তোলে বলে আমাদের আর কিছু করার নেই। এখানেই চিকিৎসা শেষ। এখন একমাত্র বহিরাজ্যে নিয়ে গেলেই চিকিৎসা সম্ভব বলে দাবী আইএলএস এর চিকিৎসক দের। শনিবার দিন সকাল বেলা সংবাদ প্রতিনিধির সামনে কাঁদতে কাঁদতে শুভজিতের মা শুক্লা দাস এবং তার ঠাকুরমা মিনতি রানী দাস জানালেন সমস্ত ঘটনা।
হতদরিদ্র পরিবারটির যা কিছু ছিল সমস্তই এই ছেলের চিকিৎসায় শেষ হয়ে গেছে। ছেলের চিকিৎসা করাতে করাতে ভিটেমাটি পর্যন্ত বন্দক দিয়েছেন তারা। এখন আর হাতে কিছু নেই তাদের। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একমাত্র ছেলের চিকিৎসার জন্য কাতর আবেদন জানিয়েছেন গর্ভধারিণী মা শুক্লা দাস। একমাত্র ছেলেকে বাঁচানোর জন্য পরিবারটির শেষ ভরসা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এবার দশম শ্রেণী পড়ুয়া শুভজিৎ দাসের চিকিৎসার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন কিনা তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে গর্ভধারিনী অসহায় মা শুক্লা দাস।