Shibnagar housewife death: শিবনগরে এক গৃহবধুর রহস্য মৃত্যু, খুন না আত্মহত্যা পানীয় তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা

Khabare Pratibad
3 Min Read
Shibnagar housewife death

 

রাজধানীর শিবনগর এলাকায় সাহা বাড়ির এক ভাড়াটিয়ার ঘরে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ঝুলন্ত গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয় মর্গে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব মহিলা থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মামলা লিপিবদ্ধ করেছে।
শিবনগর সাহা বাড়িতে বিগত এক বছর ধরে ভাড়া রয়েছেন অনীক বণিক নামে এক বিবাহিত যুবক। সে একটি জুয়েলারি দোকানের কর্মচারী।তার স্ত্রীর নাম পায়েল বনিক। ছ বছর আগে প্রেমের সূত্রে অনীক এবং পায়েলের বিয়ে হয়। এরপর থেকে বাপের বাড়ির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন পায়েল বণিকের। অনীকের বক্তব্য অনুযায়ী, তার স্ত্রী তাকে সন্দেহ করত। তাছাড়া রাতে বাড়ির বাইরে থাকা পছন্দ করত না পায়েল। এ ঘটনা নিয়ে অনীকের সাথে পায়েলের প্রায়ই ঝগড়া এবং দাম্পত্য কলহ লেগে থাকত বলে খবর। অনীক এবং পায়েলের বিবাহিত জীবনে একটি এক বছরের সন্তান রয়েছে। অনীক বণিক জানিয়েছে, তার কোন এক দাদার আত্মীয় গুরুতর অসুস্থ। তাকে আইজিএম থেকে রেফার করা হয়েছে আইএলএস হাসপাতালে। রবিবার রাতে তাই ওই দাদার সাথেই আইএলএস হাসপাতালে রাত কাটিয়েছে অনীক। সোমবার সকালে সে বাড়িতে এসে দেখতে পায় তাদের সন্তানটি কাঁদছে। ঘরে ঢুকে দেখতে পায় তার স্ত্রী পায়েল ফাঁসিতে ঝুলছে। ঘটনায় হতভম্ব হয়ে সে সন্তানটিকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সে আবারো ফিরে আসে ভাড়া বাড়িতে। এরপরই লোক জানাজানি হয়। স্থানীয় মানুষজন খবর দেয় আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক তদন্তের পর মৃতদেহ পাঠিয়ে দেয় ময়নাতদন্তের জন্য। অপরদিকে শোনা গেছে, অনীক তার শ্বশুরবাড়ি বিশালগড় বললেও প্রকৃতপক্ষে তার স্ত্রী ছিল বাংলাদেশের নাগরিক। গত এক বছরে তাদের কোন আত্মীয়-স্বজন অনীকের বাড়িতে ঘুরতে আসেনি। সাহাবাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের সাথে অনীক বা পায়েলের সেরকম কোনো সম্পর্ক ছিলনা। তবে অপর এক ভাড়াটিয়াদের কথায় জানা গেছে মাঝে মাঝেই তাদের মধ্যে ঝামেলা হতো। তবে কি নিয়ে ঝামেলা হতো সে ব্যাপারে কেউ নাক গলাতো না। অপরদিকে রবিবার রাতে অনীক বাড়ি ছিল না সেটা সাহা বাড়ির লোকজন কেউ জানতো না। সোমবার সকালে তাকে দেখা যায় তার সন্তানটিকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যেতে। পরে বাড়ির অপর এক ভাড়াটিয়াকে, অনীক যে জুয়েলারির দোকানে কাজ করে, সে দোকানের মালিক ফোন করে জানায় অনীকের স্ত্রী ফাঁসিতে আত্মঘাতী হয়েছে। কিন্তু এই ব্যাপারটি নিয়ে রহস্যের গন্ধ রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন। সুষ্ঠু তদন্ত হলে পায়েলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মূল কারণ বেড়িয়ে আসবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *