Three Bagladesh citizens caught by Tripura police

ফের অবৈধভাবে ভারতের প্রবেশ করা তিনজন বিদেশি নাগরিককে আটক করল পূর্ব থানার পুলিশ। সোনামুড়া দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করছিল এই তিনজন বাংলাদেশী। তারা আগরতলা রেল স্টেশনে গিয়েছিল পাঞ্জাব যাবার উদ্দেশ্যে। কিন্তু রেমেলের তাণ্ডবে সাময়িকভাবে রেলপথ বন্ধ থাকার কারণে তারা চন্দ্রপুর বাসস্ট্যান্ডে এসেছিল । তখনই গোপন খবরের ভিত্তিতে পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ তাদেরকে আটক করে । প্রসঙ্গত , দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে সক্রিয় রয়েছে মানব পাচার চক্র। গোপন খবরের ভিত্তিতে এনআইএ নিয়মিত রাজ্যে অভিযান চালিয়ে এই মানব পাচার চক্রের কুশীলবদের জালে তুলছে। কিন্তু তারপরও মানব পাচার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ভারত বাংলা তথা ত্রিপুরার আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা দিয়ে কিভাবে অনুপ্রবেশকারীরা কড়া প্রহরারত বিএসএফ জওয়ানদের চোখে ধূলো দিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করছে এ যেন এক রহস্য। এক্ষেত্রে সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে অভিযোগ। সীমান্তে ডিউটিরত জওয়ানদের সাথে মানব পাচার দালাল চক্রের মোটা অংকের টাকা লেনদেন হয় এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে। তাছাড়া রাজ্যের পুলিশও অনুপ্রবেশকারীদের মদত জোগাচ্ছে এমন অভিযোগ ওঠে আসছে। ইতিমধ্যেই আগরতলা রেল স্টেশনে প্রায় প্রতিদিন আটক হচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা। তারই যেন একশন রিপ্লে দেখা গেল বুধবার বিকেলে। রাজধানীর চন্দ্রপুর আইএসবিটি থেকে তিন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করল পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দুই জন পুরুষ ও একজন মহিলা। বিনা পাসপোর্টে অবৈধভাবে দালাল চক্রের হাত ধরে তারা ত্রিপুরায় ঢুকেছিল বলে খবর। পূর্ব আগরতলা থানার ওসি জানান বুধবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন চন্দ্রপুর আইএসবিটি-তে দুই জন পুরুষ ও একজন মহিলা সন্দেহ জনক ভাবে ঘুরাঘুরি করছে। সেই সংবাদের উপর ভিত্তি করে পূর্ব থানার পুলিশ চন্দ্রপুর আইএসবিটি-তে যায়। পুলিশ সন্দেহ জনক তিন জনকে আটক করে। ধৃতরা নূর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ আব্দুল্লা, আসমাউল হুসনা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পর তারা স্বীকার করে তাদের বাড়ি বাংলাদেশ। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু ভারতীয় ও বাংলাদেশী টাকা উদ্ধার হয়। সুনির্দিষ্ট ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতরা অবৈধভাবে সোনামুড়া সিমান্ত দিয়ে রাজ্যে এসেছে। তাদের সহযোগিতা করেছে দালাল। অভিযুক্ত দালাল গাড়ি দিয়ে তাদের আগরতলা রেল স্টেশনের বাইরে নামিয়ে দিয়ে যায়। কিন্তু রেল না পেয়ে, অটো গাড়ি দিয়ে তারা চন্দ্রপুর আইএসবিটিতে চলে আসে। তারপর তারা চন্দ্রপুর আই এসবিটি থেকে বাস দিয়ে রাজ্যের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তাদের তল্লাশি করে একটি মোবাইল ফোন ভারতীয় ৩৩০০ টাকা এবং বাংলাদেশের ১২৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। ধৃত দুই পুরুষ ব্যক্তির পুলিশ রিমান্ডের আর্জি জানানো হয়। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে ধৃত তিনজন রেল দিয়ে পাঞ্জাব যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।

আগরতলায় গড়ে উঠবে আরও একটি নতুন হাসপাতাল
Leave A Reply