Awami league Bangladesh
বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী কালীন সরকার গঠিত হয় যার প্রধান নির্বাচিত হন আইএসআই মদতপুষ্ট আমেরিকার সহচর ডঃ মোঃ ইউনুস। নিয়মানুযায়ী অন্তর্বর্তী কালীন সরকার গঠনের মাস ৩ এক এর মধ্যেই নির্বাচন সংগঠিত করে সরকার নির্বাচন করতে হবে। সেই মোতাবেক প্রস্তুতি ও নেবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি।
তবে বাংলাদেশে বিগত হাসিনা সরকার থাকাকালীন নির্বাচন নিয়েও নানা দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। সেই কারণে নির্বাচন সংস্কারের ও দাবী উঠে। পরবর্তী সময় নির্বাচন সংস্কারের জন্যেও গঠিত হয় একটি কমিটি। আর সেই কমিটির প্রধান বদিউল আলম মজুমদার এবার নির্বাচন নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার তিনি জানিয়েছেন যে হাসিনা সরকার থাকাকালীন নির্বাচন নিয়ে যে সমস্ত দুর্নীতি হয়েছে তার বিচার হয়ে সাজা ঘোষণা না হওয়া এবং শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে পারবে না। শাস্তি ভোগ করে তবেই নির্বাচনে অংশ নেবেন তারা। এতে কতদিন সময় লাগবে জানা নেই। তবে এই সময়ের মধ্যে যদি নির্বাচন হয় এবং তাতে আওয়ামী লীগ অংশ গ্রহন না করতে পারে তাতেও কোনো অসুবিধা নেই।
স্পষ্ট ভাবে বোঝানো হয়েছে যে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা হচ্ছে আওয়ামী লীগ কে।
বদিউল আলম মজুমদার “ সুজন “ নামক একটি নাগরিক অধিকার সংগঠনের প্রধান ছিলেন। তিনিই প্রথম নির্বাচনী বিল সংস্কারের দাবীতে সরব হন। এর পর মোঃ ইউনুস নির্বাচনী সংস্কার কমিটির প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেন তাকেই।
বদিউল এর বক্তব্য অনুযায়ী আওয়ামী লিগের সবাই চোর , কলঙ্কিত এবং সে কারণেই তারা পলাতক। এছাড়া বিগত তিনটি নির্বাচনে যুক্ত প্রায় ১০ লক্ষাধিক কর্মী যাদের সময় হাসিনা সরকার গঠিত হয়েছে তারা সকলেই সমান ভাবে দোষী। তাই আগে এই দুর্নীতি গুলোর পর্দা ফাঁস হবে, দোষীদের বিচার ও সাজা হবে এর পর আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। তার আগে পর্যন্ত নির্বাচনে ঢুকতে ও দেওয়া হবে না তাদের।
আসলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে লড়াই করলে আর দুর্নীতি মুক্ত নির্বাচন হলে যে পুনরায় আওয়ামী লিগের ই পাল্লা ভারী থাকার সম্ভাবনা বেশি সেটাই হয়তো ভয় বদিউল সহ মোঃ ইউনুস এবং অন্যান্য ইসলামিক দল গুলির। তাই আওয়ামী লীগ কে দাবিয়ে, শেখ হাসিনা ও তার দলের কর্মীদের দাবিয়ে কোনো ক্রমে নির্বাচন সম্পন্ন করে দেশ শাসন হাতিয়ে নিতে চাইছে তারা। এদিকে হাসিনা পুত্র ও খোদ শেখ হাসিনার দাবী উনি পদত্যাগ করেননি। সুতরাং নির্বাচন এর তো প্রশ্নই আসছে না। যদিও হয় তবে আওয়ামী লীগ কে সাইডে রেখে, কারণ আওয়ামী লীগ কে এক প্রকার ভয় পাচ্ছে তারা। এমনটাই দাবী করছেন কতিপয় আওয়ামী লীগ এর নেতৃত্বরা।