Bangladesh Awami League

হিন্দু ও গ্রামীণ ভোটের জোরে ক্ষমতার মসনদে বসতে প্রস্তুত Shekh Hasina

বাংলাদেশে আতঙ্কে আছে মোল্লা ইউনুস, বিএনপি ও জামায়াত । বাংলাদেশে রাজত্ব করার স্বপ্ন থেকে যাবে স্বপ্নই। অন্তর্বর্তী নির্বাচন হলে আবারো ক্ষমতায় বসবে আওয়ামী লীগ। আর জেলে ঢুকতে হবে ছাত্র আন্দোলন এর নামে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়া রাজনৈতিক অরাজনৈতিক সবকটা মাস্টার মাইন্ড কে। এমনটাই ভয় এবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী কালীন সরকার ও বিরোধী দের।
বিএনপি ও জামায়াত এর দৌলতে বাংলাদেশে এক অরাজকতার পরিবেশ সৃষ্টি করে সেনা শাসনের চাপে পরে গত ৫ই আগস্ট দেশ ছাড়তে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে। অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হন আইএসআই মদত পুষ্ট মোল্লা মোঃ ইউনুস। উনার ইশারা মতে খুব শীগগির নির্বাচন হওয়ার ও কথা ছিল। পরিকল্পনা ছিল এই নির্বাচনে যেন আওয়ামী লীগ অংশ গ্রহনই না করতে পারে। কিন্তু তার মাঝেই বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে। যার কারণে এক প্রকার ব্যর্থতাই ধরা পরে ইউনুসের হাতে। রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্রই জমা দেন নি হাসিনা। এই নিয়েও জোর চাপে পরে ইউনুসের সরকার। আদৌ কি টিকে থাকবে এই অন্তর্বর্তী কালীন সরকার ? প্রশ্ন উঠে স্বাভাবিক ভাবেই।
এবার নির্বাচন এর প্রস্তুতি নেবার পূর্বে ইউনুস বাংলাদেশের তিনটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা স্পেশাল ব্রাঞ্চ, এনএস আই ও ডিজিএফআই কে নির্দেশ দেন ভোট ফলাফল নিয়ে একটি আনুমানিক তথ্য পেশ করার জন্য। সেই মোতাবেক গোয়েন্দা সংস্থা গুলো তথ্য পেশ করেছে যার কপি পাঠানো হয়েছে বিএনপি ও জামায়াত কে ও । সেই রিপোর্টে লেখা রয়েছে, “ আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হলে , ক্ষমতা দখল করবে আওয়ামী লীগই”।
আর এটা শোনা মাত্রই পায়ের তলার মাটি খসে গেছে মোল্লা ইউনুস ও তার দুই সহযোগী দলের। এবার নির্বাচন নিয়ে উদ্দীপনার চাইতেও উদ্বেগ বেশি দেখা দিচ্ছে তাদের মধ্যে।
রিপোর্ট অনুযায়ী , আগস্টে যে ছাত্র আন্দোলন হয় তাতে বিশেষ করে শহর তলির ছাত্র যুবাদের অংশিদারিত্ব ছিল। গ্রামাঞ্চলে এর প্রভাব খুব একটা পড়েনি। যার ফলে গ্রামীণ ভোটারদের সম্মতি হারায়নি আওয়ামী লীগ। তাছাড়া বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের গ্রামীণ উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছিল হাসিনা সরকার । সে কারনেও আওয়ামী লীগ কে সমর্থন করেন তারা। সরকার পতনের পর অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে বাজারে। তাই মধ্যবিত্তরা বেজায় ক্ষিপ্ত হয়ে আছে বর্তমান সরকারের উপর। বন্ধ হয়ে গেছে বহু কল কারখানা। রোজগার হারিয়েছেন লক্ষাধিক শ্রমজীবী। তাদের সমর্থন ও পাবে না ইউনুস ও তার দল বল। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস কে খণ্ডিত করার যে অপপ্রয়াস হয়েছে সেটাও ভালো চোখে দেখছেন না অনেকেই। এছাড়া বিশেষ ভাবে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ১০০ শতাংশ ভোট পড়বে আওয়ামী লিগের বাক্সে। কারণ এবারের পরিস্থিতি তে একটা জিনিস স্পষ্ট বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই শান্তিতে বাচতে পারবেন সংখ্যালঘুরা। সুতরাং সব দিক থেকেই জয় আওয়ামী লিগের। আর এই রিপোর্ট অনুধাবন করে বলা চলে হাসিনা সরকারের প্রত্যাবর্তন হতে খুব একটা সময় লাগবে না।

Leave A Reply