One nation one election : কংগ্রেস এর স্বার্থ পূর্তি আর নয়, প্রাচীন নিয়মের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে এক দেশ এক ভোট নীতি চালু প্রসঙ্গে স্পষ্ট বার্তা বিপ্লব দেব এর

Khabare Pratibad
2 Min Read

One nation one election

কংগ্রেস এর স্বার্থ পূর্তি আর নয়, প্রাচীন নিয়মের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে এক দেশ এক ভোট নীতি চালু প্রসঙ্গে স্পষ্ট বার্তা বিপ্লব দেব এর

এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দেশে তুমুল উত্তেজনা ভোটাভুটির নয়া নীতি নিয়ে। সংসদে বিল পেশ ও বিল পাশ করাবার পরে স্তম্ভিত ভারতের একটা বিরাট অংশের ভোটার। অনেকেই বলছেন সুবিধে হবে ভোট দিতে। আবার একাংশের মতামত এর পেছনে ও রয়েছে কোনো কারচুপির ষড়যন্ত্র। যে যাই বলুক, এই এক দেশ এক ভোট এর নীতি কিন্তু নতুন নয়। অনেকেই হয়তো জানেন না তবে এই নীতি বহু পুরনো এবং দীর্ঘ কয়েক দশক এই নীতি তেই ভারতে লোক সভা ও বিধানসভার ভোট গ্রহন হতো। ৭০ এর দশকে ইন্দিরা গান্ধী জি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন নির্ধারিত সময়ের ১৫ মাস পূর্বে আচমকা লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার সাথেই এই নীতি ভেঙ্গে যায়।
আজ এই বক্তব্যই সাংবাদিক দের সামনে তুলে ধরলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা হরিয়ানার রাজ্য প্রভারি এবং পশ্চিম ত্রিপুরার লোকসভার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে আজ মোদী সরকারের এই এক দেশ এক ভোট বিল পাশ করানোর বিষয় কে কুর্নিশ জানিয়ে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও কংগ্রেসি দের নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন।
বিভিন্ন জাতীয় সংবাদ মাধ্যম এর তথ্যানুযায়ী , ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন উনার ভোটের শতকরা হারের পরিমাণ অনেকটাই কম ছিল। পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী হবার তাগিদ থেকেই তিনি এই এক সময়ে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় বদল ঘটান। যার মধ্যে দিয়ে ইন্দিরা গান্ধী ও তার দল দীর্ঘজীবী হবার সুগম পথ তৈরি করেছিল। আজো সেই পথ অবলম্বন করে চলেছে গান্ধী পরিবার এবং কংগ্রেস। কিন্তু তাতেই বাঁধ সেধেছে এবার মোদী জির এই “এক দেশ এক ভোট “ নীতি। তাই চারিদিকে সমালোচনার ঝড়। তবে এই নীতি লাগু হলে একদিকে যেমন দেশের অর্থ অপচয় কমবে , তেমনি সময় এবং আরক্ষা মোতায়েন নিয়ে যে চাপ বৃদ্ধি পায় তাতেও অনেকটাই রেহাই পাওয়া যাবে। এছাড়া এই নীতি লাগু হলে যে পরিমাণ অর্থ সঞ্চিত থাকবে তা দেশের প্রতিটি রাজ্যের উন্নয়নে বিনিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে দাবী করেন এদিন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *