Durga Puja theme at Agartala 2024
আগরতলায় এবার চিন থেকে আমেরিকা সব কিছুর মিলিত সমাবেশ, লিসবোয়া থেকে অক্ষর ধাম , সব মিয়েই এবারের দুর্গা পুজো
দুর্গা পুজো মানেই বাঙ্গালীর আবেগ জড়িত ৪ টে দিন। বছরের গোটা সময় টুকু এই কটা দিনের অপেক্ষায় থাকি আমরা সকলেই। আর পুজো এসছে মানেই হই হই করে ঠাকুর দেখতে যাওয়া, প্যান্ডেল হপিং, খাওয়া দাওয়া আরও কত কি। বছর ঘুরে আবারো চলে এসছে ২০২৪ এর দুর্গা পুজো। আর এবারেও দর্শনার্থীদের আকর্ষিত করতে জোর কদমে প্যান্ডেল তৈরির কাজ চলছে গোটা ত্রিপুরা জুড়ে।
রাজধানী আগরতলা এই দুর্গা পুজোয় সকলের মধ্যমণি। দূর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আগরতলার দুর্গা পুজো ও প্যান্ডেল দেখতে আসেন না এমন একটা বছর ও নেই। টাই সবার কথা ভেবেই উদ্যোক্তারাও প্রতি বছর কিছু নতুনত্য তুলে ধরার চেষ্টা করেন।
রাজধানীর বনেদী ক্লাব গুলোর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য নাম মডার্ন ক্লাব।
মডার্ন ক্লাবে বিগত বছরে প্রেম মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছিল দুর্গা পুজো প্যান্ডেল। এবছরে মডার্ন ক্লাবের চেষ্টা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের বিশেষ মন্দির কে তুলে ধরার। শিব নগর স্থিত মডার্ন ক্লাব এবার পাড়ি দিয়েছে সুদূর আমেরিকায়। আমেরিকার নিউজার্সি স্থিত অক্ষর ধামের আদলেই এবারের পুজো মণ্ডপ। প্রতি বছর শহরতলি তে সবার আগে এই প্যান্ডেল এর ই কাজ শেষ হয়ে থাকে। এবারেও মোটামোটি ভাবে টাই। প্রায় ৬০% নির্মাণ হয়ে গেছে প্যান্ডেল। এখন শুধু পুজোর অপেক্ষা।
এর পরেই নাম আসছে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন ক্লাবের।
রাজধানীর বুকে অবস্থিত চিত্তরঞ্জন ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তারা ও এবারের পুজোয় ত্রিপুরার বুকে টেনে এনেছেন চিনের গ্র্যান্ড লিসবোয়া কে। চিনের একটি অন্যতম কেসিনো এবং বিশ্বখ্যাত গ্র্যান্ড লিসবোয়ার আদলে সেজে উঠছে চিত্তরঞ্জন এর দুর্গা পুজো প্যান্ডেল। এবারের বাজেট রেখেছেন তারা প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। তবে তা আরও একটু বাড়তে পারে। রয়েছে লাইট শো এর ব্যবস্থা। সুদূর মুম্বাই থেকে শিল্পীরা এসে এখানে প্যান্ডেল নির্মাণ ও লাইট শো এর আয়োজন করছেন। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত প্রস্তুতি। উল্লেখ্য, বিগত বছর টুইন টাউয়ারের আদলে প্যান্ডেল সাজিয়ে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের আকর্ষিত করেছিল চিত্তরঞ্জন।
এছাড়া রয়েছে ফ্লাওয়ারস ক্লাব।
মঠ চৌমুহনী স্থিত ফ্লাওয়ারস ক্লাবে এবছর অযোধ্যার রাম মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে প্যান্ডেল। বর্তমান ভারতে ভগবান রাম যেন এক অন্য মাত্রার আবেগ। আর অযোধ্যার রাম মন্দির বিগত দুই বছরের মধ্যে বহু ধর্মপ্রাণ মানুষের হৃদয় জুড়ে আছেন। সেই ভাবনা কে মাথায় রেখেই হয়তো এই উদ্যোগ।
এছাড়া ও বনেদী ক্লাব গুলো আরও নানান রূপে সেজে উঠেছে। আর কিছু দিনের অপেক্ষা। তার পরেই দেবী পক্ষের শুরু এবং দশভুজার আগমের সাথে সাথে মেতে উঠবে গোটা রাজ্য।