CPIM Sabroom Satchand block
আর ভয় নয়। ভয় কে জয় করেই লড়তে হবে। সমাজদ্রোহীদের মনোবলে কুঠারাঘাত করে নিজেদের অদম্য শক্তি প্রদর্শন করে প্রার্থীদের নিয়ে এক বিশাল মিছিল করে আজ সাব্রুম সাতচাঁদ ব্লকে মনোনয়ন জমা দিলেন বামেরা।
রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপির আশ্রয়ে পালিত পোষিত দুষ্কৃতী দের ইট পাটকেল ছুড়াছুড়ি তে আর পিছিয়ে যাবেন না বামেরা। এই দাবী করেই এগিয়ে গেলেন আজ মনোনয়ন জমা দিতে।
গত দুদিন আগেও নমিনেশান জমা দিতে গিয়ে বিলোনিয়া রাজনগরে তীব্র আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন বাম নেতা সুধন দাস, প্রার্থী বাদল শীল সহ অন্যরা। সেদিন রাতেই দুষ্কৃতিরা দল বেঁধে পরিকল্পিত ভাবে প্রার্থী বাদল শীল কে খুন করেছিল। ভোটের আগেই প্রার্থী ও একজন একনিষ্ঠ কর্মী হারালো রাজ্য বামফ্রন্ট। এতো কিছুর পরেও থেমে থাকেনি দুষ্কৃতীরা। আজ আবারো একই ভাবে ইট পাটকেল ছুড়ে মারার চেষ্টা করা হয় নেতৃত্বদের উপর। কিন্তু সকলে মিলে সম্মিলিত ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এদিন।
উল্লেখ্য, কলাছড়া থেকে সাতচাঁদ ব্লক পর্যন্ত এক মিছিল সংগঠিত করে দুস্কৃতিদের সমস্ত ভয় ভীতি প্রদর্শন কে জোড়ালো ভাবে প্রতিরোধ করে আজ নমিনেশন জমা দিতে যান পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির বামফ্রন্টের প্রার্থীরা । ১৫ জুলাই সোমবার, বেলা সাড়ে ১১টায় মিছিল সংগঠিত করে নমিনশেন পত্র জমা দেন তারা। আগামী ৮ই আগষ্ট ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। আজকের এই মিছিল ও মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মাক্সবাদী ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী, রাজ্য কমিটির সদস্য বিপ্লব সান্যাল, অরুন ত্রিপুরা, দক্ষিন জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য প্রভাত চৌধুরী প্রমুখ। এদিন তারা সাতচাঁদ ব্লকের সামনে পৌঁছাতেই কিছু সমাজদ্রোহীরা ইট পাটকেল ছুড়ে মারে। অভিযোগ তারা প্রত্যেকেই বিজেপি দলীয় সমর্থক। পুলিশের সামনেই মনোনয়ন জমা দেওয়ায় বাধা দান করার চেষ্টা করে তারা। কিন্তু অবশেষে সমস্ত চোখ রাঙানির প্রতিরোধ করে এদিন নমিনেশন জমা দিতে সফল হলেন বামেরা।
তবে প্রতিবার ই দেখা যাচ্ছে পুলিশ প্রসানের সামনেই এধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে দুষ্কৃতী রা। কিন্তু পুলিশের তরফ থেকে এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। এই নিয়ে সর্ব ক্ষেত্রেই ক্ষোভ বিরাজমান। আসন্ন নির্বাচনে প্রশাসন নিজের দায়িত্ব কতটা ঠিক ভাবে পালন করবে সেই নিয়েও সংশয় দেখা দিচ্ছে।