Kejriwal is resigning from CM post
জেল ছাড়া পেতেই কেজরিওয়ালের আকস্মিক সিদ্ধান্ত, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা কেন দিতে চাইলেন কেজরিওয়াল?
দিল্লীর সরকার আম আদমি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এবং দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আম আদমি পার্টি ও রাজ্যের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়। উনার বিরুদ্ধে আবগারি দুর্নীতি মামলা হবার পর যেন এই ভালবাসা বহুলাংশে বরং বেড়েই গেছে। তবে সেটাও অভীক্ষা সাপেক্ষ । তাই একবার যাচাই বাছাই করে নিলেও ক্ষতি কি? হয়তো এটাই কারণ, কিংবা হতে পারে রাজনৈতিক ভাবে নয়া সমীকরণ হবার সম্ভাবনা রয়েছে দিল্লীতে।
মার্চে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার কেজরিওয়াল চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সিবিআই পর্যাপ্ত প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে উল্টে সুপ্রিম কোর্টের কাছে কটাক্ষের পাত্র হয়েছে খোদ সিবিআই ই। তবে কেজরি ওয়াল মুক্তি পাওয়ায় দিল্লীর আকাশ বাতাসে আনন্দ উদ্বেলিত হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আচমকাই কেজরিওয়াল এর এক বার্তা কে ঘিরে তার অনুগামীদের মন ভারাক্রান্ত। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে এই সিদ্ধান্ত জানালেন নিজেই। কেন ?
উনার বক্তব্য , নভেম্বরের মধ্যেই পুনঃ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে জনগণের রায় জেনে নিতে চান তিনি। উনি যদি এতো বছরে দিল্লীর জন্যে সত্যিই কাজ করে থাকেন, যদি মানুষ উনাকে ভালবেসে থাকেন এবং উনার প্রতি সহমত পোষণ করেন তবে পুনরায় ভোটে জীতে আবারো মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসবেন তিনি।
এ কোনো সাধারণ কথা নয়। যেখানে একদিকে ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কে দিল্লীর নির্দেশ মেনে বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রীত্ব খোয়াতে হয় সেখানে কেজরিওয়ালের এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। একেই বোধয় সেক্রিফাইজ বলে আখ্যায়িত করা যায়, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যেটা করেছিলেন সেটা ত্যাগ নাও হতে পারে।
যাই হোক, কেজরিওয়াল জাতীয় সংবাদ মাধ্যম গুলো কেও জানিয়েছেন যে উনি চাইছেন জনগণ আরও একবার নিজের রায় জানিয়ে দিক। উনার বিরুদ্ধে যে মিথ্যে মামলা সাজিয়ে উনাকে হাজতে পাঠানো হয়েছিল, কেন্দ্রীয় মোদী শাহের সরকার যে বারংবার দাবী করেছিল যে দিল্লীর লোক চায়না কেজরিওয়াল কে, সেই সমস্ত কিছু পরখ করে দেখার সময় এসে গেছে। এবার জনগণ নিজেই ভোটের মধ্যে দিয়ে এর জবাব দেবে।
যদিও লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে কিছুদিনের জন্যে অন্তর্বর্তী কালীন জামিনে মুক্তি পেয়ে প্রচারে যোগ দিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরেও দিল্লীর ৭ টি আসনেই পদ্ম ফোটাতে সফল হয় কেন্দ্র সরকার। তবে বিধানসভা নির্বাচন এর ধরন কিছুটা ভিন্ন। এবার যে জবাব জনগণ দেবেন , সেটাই হবে সর্বোপরি। সেটাই জানান দেবে লোকসভা ভোটের ফলাফল আদৌ কতটা স্বচ্ছ ছিল।
এবার আগামী দিনে কেজরিওয়াল এর পদত্যাগ ও তার পরে দিল্লীর রাজনৈতিক আবহের রঙ কোন দিকে বদলায় সেই দিকেই নজর থাকবে গোটা দেশের।