Agartala News : এই ত্রিপুরা কি আমাদের সেই ত্রিপুরা? যে রাজ্যের গর্ব ছিল তার শান্ত পরিবেশ, সংস্কৃতি আর মানবিকতা?
আজ সেই রাজ্যে সরকারি অফিসেও চোরদের হানা।
নেশার রমরমা, প্রশাসনের নীরবতা, আর রাজনৈতিক ছত্রছায়া—এই ত্রিফলা ত্রিপুরাকে ঠেলে দিচ্ছে অন্ধকারে। ত্রিপুরায় যেন চোরেদের কোনও লাগাম নেই!
বাড়িঘর, দোকানপাট ছাড়িয়ে এবার সরাসরি পৌর নিগমের অফিসে চোরের হানা। তাও আবার রাজ্যের রাজধানী আগরতলার বুকে! ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের আড়ালিয়া অনুকুল ঠাকুর আশ্রমের ঠিক পাশেই থাকা পৌর নিগমের অফিসে। জানা গেছে রবিবার রাতের অন্ধকারে অফিসে ঢুকে চোরেরা তছনছ করে দেয় গোটা অফিস —নগদ টাকা, কম্পিউটার, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র—সব কিছু নিয়ে চম্পট দেয় চোরের দল।
সকালে অফিস খোলার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। খবর ছড়াতেই ঘটনাস্থলে হাজির হন আগরতলা পৌর নিগমের ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত।খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও।
সবচেয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুভাষ ভৌমিক। তাঁর কথায়, বোঝাই যাচ্ছে যে এই এলাকায় নেশা সেবনের যে কী ভয়ঙ্কর অবস্থা, কারণ কাউন্সিলর নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন এলাকার নেশা কারবারীদের কাজ হতে পারে এই চুরি কান্ড।
ত্রিপুরা যেন ক্রমেই পরিণত হচ্ছে এক ‘নেশার রাজ্যে’।
প্রশাসন কি ঘুমিয়ে আছে?নেশার গডফাদারদের রক্ষা করছে কারা? রাজ্যে নেশা কারবারিদের রমরমা, প্রশাসনের নিরবতা আর রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় মাদকাসক্ত যুবসমাজ আজ অপরাধের পথে।
ত্রিপুরার বুকে এই ‘নেশা-রাজনীতি’র খেলা কোথায় গিয়ে থামবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
কারণ প্রায়ই কোথাও না কোথাও থেকে নেশা কারবারীদের আটক করা হচ্ছে তাও আবার প্রচুর পরিমাণে নেশা জাতীয় দ্রব্য সহ এরপরেও রাজ্যে থামছে না এই ধরনের নেক্কারজনক কাজ। তার উপর আবার এখন সরকারি অফিসেই চুরি। প্রশ্ন উঠছে যদি সরকারী জিনিসই সুরক্ষিত না থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের সুরক্ষাই বা কে দেবে?
এছাড়াও কাউন্সিলর সুভাষ ভৌমিক দাবি করেন এই ওয়ার্ড অফিস মেরামতের দরকার এবং দুইজন নাইট গার্ডের দরকার। তাহলে হয়তো এই ধরণের ঘটনা সামলানো যাবে।
তবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । এখন দেখার বিষয় চোরেদের জালে তুলতে পুলিশ সক্ষম হয় কি না। তবে যদি নেশা সেবনকারাই এই চুরি করে থাকে, তবে তাদের আটক করলে হয়তো ওই এলাকার নেশা কারবারিদের ও নাম সামনে উঠে আসবে