Unemployment issue keeps rising
রাজ্যে দিন কে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বেকারত্বে সমস্যা । একদিকে শূন্য পদ পূরণ করছে না সরকার। অন্যদিকে এবার নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
আজ ত্রিপুরা বিধানসভায় Group C , Group D ৩৭ টি পদ সহ ত্রিপুরা পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরিচালিত ডিগ্রি কলেজগুলোতে এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, টেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার গ্রুপ-এ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে একটি নোটিশ জারি হয়েছে। আর সেই নিয়েই এই আজ উত্তাল হয়ে পড়েছে শহর আগরতলা। বিভিন্ন মহল থেকে গোটা বিষয় কে কেন্দ্র করে যেমন সমালোচনা শুরু হয়েছে তেমনি কেন এই নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে তার জবাবদিহি করতে হবে সরকার কে। দাবী তুলেছেন বিরোধী ছাত্র সংগঠন গুলিও।
রাজ্যে অসিমিত হারে বেকারত্বের পরিমাণ বাড়ছে। আর এই বেকারত্বের প্রভাব গিয়ে সোজাসুজি পড়ছে গোটা সমাজ ব্যবস্থায় । কিভাবে সেই আলোচনায় পরে আসছি।
প্রাথমিক ভাবে রাজ্যে বিগত কিছু সময়ের মধ্যেই একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ সামনে উঠে এসেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ, কিংবা শিক্ষা, এমনকি আজ ফায়ার সার্ভিস বিভাগে ও নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ উঠে এসেছে।
ত্রিপুরার বিধানসভা তে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি তে প্রায় ৩৭ টি শূন্য পদ ছিল এবং সেগুলো পূর্ণ করতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছিল বলে খবর। কিন্তু হঠাৎ করেই আজ একটি নোটিশ জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এই নিয়োগ আর হচ্ছে না। যে বেকার যুবক যুবতীরা উক্ত শূন্য পদের জন্যে আবেদন করেছিলেন , স্বাভাবিক অর্থেই তাদের মনেও প্রশ্ন যে কেন বাতিল হল এই নিয়োগ প্রক্রিয়া ?
রাজ্যে ক্রমাগত বেকারত্ব বৃদ্ধির ফলে একটা অংশ বিভিন্ন অবৈধ এবং বেআইনি পথে অর্থ উপার্জন করতে উদ্যত হয়েছে। তাছাড়া নেশা কারবার এবং চুরি ডাকাতির মতো ঘটনার পেছনে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে দায়ী রাজ্যের বেকারত্বের সমস্যা। উপর্যুপরি , রাজ্য সরকার শূন্য পদ পুরনে কোনো ধরণের অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে না। দীর্ঘ ৬ বছরে তেমন ভাবে কোনো নিয়োগ হয়নি। শুধু মাত্র কিছু পরিমাণ টেট এবং জেআরবিটি তে নিয়োগ হয়েছে গত বছর।
রাজ্যের অসংখ্য চাকুরী প্রত্যাশী বেকার যুবক যুবতীরা চাকরীর আশায় দিন গুনছেন। এদিকে অনেকের বয়স ও বেড়ে যাচ্ছে বলে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। সব মিলিয়ে চাকরীর জন্যে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা ত্রিপুরায়। না হচ্ছে চাকরি, না হচ্ছে কর্মসংস্থান। ৬ বছর পরেও রাজ্যে ব্যাপক ভাবে কর্ম সংস্থান দিতে ব্যর্থ বিজেপি সরকার। অভিযোগ উঠছে শিক্ষানুরাগী এবং শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মহল থেকেই।