Thief caught while looting cow

গরু চুরি করতে এসে বাংলাদেশী চোরের দলের

হাতে আক্রান্ত এপারের যুবকের

বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর থেকেই প্রতিরাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশী গরু চোরের দল খোয়াই শহর ও গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়ে চুরির ঘটনা সংঘটিত করছে। গত এক মাসে খোয়াই মহকুমা থেকে প্রায় শতাধিক গরু চুরি করে নিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশী গরু চোরের দল। রবিবার গভীর রাতে খোয়াইয়ের সীমান্ত গ্রাম পহরমুড়া মধ্যপাড়ায় ১০-১২ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশী গরু চোরের দল হানা দেয় একাধিক মানুষের বাড়িতে গরু চুরির উদ্দেশ্যে।
ওইদিন গভীর রাতে পহরমুড়া মধ্যপাড়ার বাসিন্দা দিলীপ বিশ্বাসের বাড়ির গোয়াল ঘরের তালা কাটলে তিনি ঘটনাটি টের পেয়ে বসত ঘর থেকে বেরিয়ে যান খালি হাতেই। বাড়িতে চোরের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গেই ঘরে ঢুকে পড়েন। ঘরে বসে তিনি ওনার একাধিক ভাই ও আত্মীয়-পরিজনদের ফোন করে ঘটনা জানান। দিলীপ বিশ্বাসের বাড়িতে সশস্ত্র গরু চোরের দল প্রবেশ করার খবর পেয়ে ছুটে আসে ওনার ছোট ভাই রঞ্জিত বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা।
রঞ্জিত বিশ্বাস একটি গলি রাস্তা ধরে ভাই দিলীপ বিশ্বাসের বাড়িতে যাবার পথে বাংলাদেশী গরু চোরের মুখোমুখি হয়ে যায়। সে সময় বাংলাদেশি গরু চোরের দল ধারালো দা দিয়ে রঞ্জিত বিশ্বাসকে কোপ দিলে তার বাঁ হাতের একটি আঙ্গুল কেটে টুকরো হয়ে পড়ে যায়। ঘটনার পরই বাংলাদেশি গরু চোরের দল পার্শ্ববর্তী একটি ইট ভাট্টার পাশ দিয়ে দৌড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে পালিয়ে যায় বিএসএফের সামনেই। পরে রাতে আহত রঞ্জিত বিশ্বাসকে(৩৫) খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে জিবি হাসপাতালে পাঠান।
সীমান্তে বিএসএফ মোতায়েন থাকা সত্বেও বিএসএফ এর সামনে দিয়ে রোজ গরু চুরি করে পালাচ্ছে বাংলাদেশী চোরেরা । অথচ তাদের নেই কোনো হেলদোল। এই অবস্থায় রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যে খোদ নিরাপত্তা রক্ষীদের দ্বারাই বিনষ্ট হচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। গ্রামবাসীরা রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছে বিএসএফ এর বিরুদ্ধে। কিন্তু এতো বড় ঘটনার পরেও কি রাজ্য সরকার কোনো পদক্ষেপ নেবেন ? সেটাই দেখার বিষয়।

Leave A Reply