Haniph Mia arrested with alcohol
রাজ্যে অবাধে চলছে নেশা কারবার। পুলিশ প্রশাসন এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর নেশা মুক্তির ডাক কে তুয়াক্কা না করেই কিছু দুষ্ট চক্র চালাচ্ছে অবাধে পাচার কাজ। ড্রাগস , ইয়াবা টেবলেট, গাঁজা তো বটেই । একটা অংশ আবার বিদেশী মদ পাচার কাজেও বিশারদ লাভ করছে। আর এবার এমনই এক ঘটনার সাক্ষী বিলোনিয়ার আম জনতা।
ত্রিপুরার বিলোনিয়া মহকুমাধীন সারাসীমা এলাকায় এক নেশা কারবারি কে ইতিমধ্যেই পাঁকরাও করতে সক্ষম হয়েছে বিলোনিয়া থানার পুলিশ। তাঁকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে থানায় । এমনকি নির্দিষ্ট ধারায় মামলা নিয়ে তদন্ত ও শুরু করেছে পুলিশ।
বিলেতি মদ পাচার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লো হানিফ। জানা যায় আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ বিলোনিয়া পুলিশের কাছে গোপন সুত্রে খবর আসে যে বিলোনিয়া থানাধিন সারাসিমা এলাকার হানিফ মিয়ার বাড়িতে বিলেতি মদ লুকান আছে। সেই সুত্র ধরে পুলিশ ও ৪৫ নং বিএসএফ জওয়ানরা যৌথ ভাবে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায়। আর সেই অভিযান মুলেই হানিফ মিয়ার ঘর তে বিলেদি মদ এর একটি বিশাল কার্টুন উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তাঁর পাশাপাশি বাড়ির মালিক তথা মদ পাচারকারী হানিফ মিয়া কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর পুলিশ উদ্ধারকৃত বিলেতি মদ সহ হানিফ মিয়াকে নিয়ে আসে বিলোনিয়া থানাতে। জানা গেছে এদিন মোট ৯৫ টি বিলেতি মদের বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত বিলেতি মদ হানিফ কোথায় পাচার করতে চাইছিল সেই প্রশ্নের জবাবে পুলিশ জানায়, বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যেই এই বিলেতি মদের বোতল অবৈধভাবে মজুদ করে রাখে হানিফ মিয়া।
ত্রিপুরা রাজ্য থেকে এধরণের পাচার চলছে বহু সীমান্ত বর্তী জায়গা দিয়ে। কান পাতলে শোনা যায়, কিছু কিছু সীমান্তবর্তী এলাকাতে বিএসএফ জওয়ানদের মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করেই এসব চলছে। মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে অবগত আছেন বটে। তথাপি কোনো তদন্ত কেন নেই সেটাই প্রশ্ন।
তবে এদিনের ঘটনার পর পুলিশ এনডিপিএস এক্টে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা নিয়ে হানিফ মিয়াকে গ্ৰেপ্তার করে তদন্ত শুরু করেছে। এই পাচারের সাথে আরও বেশ কয়েকজন যুক্ত থাকতে পারে বলে দাবী করছে পুলিশ। তদন্তে তাদের ও খোঁজ মেলে কিনা সেদিকে তাকিয়ে বিলোনিয়া বাসী।