Dhitishree company Belonia
ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এবার রাস্তা থেকেই এক ব্যক্তির গলার চেইন সহ নগদ টাকা ছিন্তাই করে নিয়ে যায় ৪ জন। ঘটনা বিলোনিয়া মহকুমার রাজনগরে। ক্ষতি গ্রস্থ ব্যক্তি ধীতিশ্রী নামক একটি কোম্পানির ম্যানেজার। তার নাম রাখাল ভৌমিক। বাড়ি বাইখোরা থানাধীন রামরাই বাড়ি এলাকায়। উনার কাছ থেকে জানা যায়, এই আক্রমনের ঘটনাটি ঘটে গত ১২ ই জুন বিকেলে রাজনগর থানাধীন ওয়াংছড়া স্কুল কর্নার এলাকায়। ঘটনাস্থলে এলাকাবাসীরা যদি ছুটে না আসতো তাহলে সেই ৪ দুষ্কৃতী উনাকে হত্যা করে ফেলতো । সংবাদ মাধ্যমের সামনে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন ধীতিশ্রী কোম্পানির ম্যানেজার রাখাল । ঘটনার দিন ওয়াং ছড়াতে বিএসএনএল টাওয়ারের কাজ দেখতে যান ম্যানেজার রাখাল ভৌমিক । এরপর বিএসএনএল টাওয়ারের কাজের শ্রমিকদের নিয়ে রামরাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর ওয়াং ছড়া স্কুল কর্ণার এলাকায় চন্দন ত্রিপুরা, পরিমল ত্রিপুরা, ধর্মেন্দ্র ত্রিপুরা ও রাঙ্গা হরি ত্রিপুরা সহ আরো চার থেকে পাঁচ জন যুবক রাখাল বাবুর গাড়িকে আটক করে, ম্যানেজার রাখাল ভৌমিক কে গাড়ি থেকে টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে অতর্কিতভাবে কিল, ঘুষি,লাথি মারতে থাকে। এমনকি লাঠি দিয়েও মারধর করতে থাকে রাখালকে। চিৎকার চেঁচামেচি করার পর এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে আসার আগেই নগদ টাকা ও গলার স্বর্নের হার ছিনতাই করে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপর এলাকাবাসী ও শ্রমিকদের সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় রাখাল বাবুকে চিকিৎসার জন্য । এলাকার সুত্রে খবর, চন্দন ত্রিপুরা, পরিমল ত্রিপুরা, ধর্মেন্দ্র ত্রিপুরা ও রাঙ্গা হরি ত্রিপুরা সহ আরো চার পাঁচ জন রাজনৈতিক দল তিপ্রা মথার চুনোপুঁটি নেতা বলে পরিচিত। মথার রামাবলী গায়ে জড়িয়ে যখন তখন এলাকার মানুষের উপর হামলা, হুমকি চালিয়ে যাচ্ছে তারা, এমনই অভিযোগ। এছাড়া বিভিন্ন সন্ত্রাস মুলক কার্যকলাপের সাথেও যুক্ত এরা। এলাকাবাসীরা অতিষ্ট এই সমাজ দ্রোহী মথার চুনোপুঁটি নেতাদের কারনে। এলাকাবাসীরাও চাইছে দোষীদের শাস্তির ব্যাবস্থা হোক।
উল্লেখ্য, গত ১৩ই জুন রাজনগর পিআর বাড়ি থানাতে চন্দন ত্রিপুরা, পরিমল ত্রিপুরা, ধর্মেন্দ্র ত্রিপুরা ও রাঙ্গা হরি ত্রিপুরার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ম্যানেজার। কিন্তু সাত দিন অতিক্রান্ত হতে চললেও পিআর বাড়ি থানার ওসি আক্রমন কারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে তাল বাহানা দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ। থানার ওসি কেন আক্রমন কারিদের বাঁচাতে আপোষ, মিমাংসায় যাওয়ার পরামর্শ দিল ম্যানেজারকে , তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে জনমনে। তাহলে কি বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদবে , এইটাই প্রশ্ন চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কর্তারা যদি হাত পা গুটিয়ে বসে থাকে তাহলে জনগণ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে বিচারের জন্য ?
এখন দেখার বিষয় আদালতে দ্বারস্থ হবার পর সুবিচার পান কিনা রাখাল বাবু।