সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মদমত্ত তাণ্ডব, ক্ষোভ জনমনে
বর্ডার ছেড়ে একেবারে রাস্তায় মদমত্ত অবস্থায় তান্ডব লীলা ৪৩ নং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। এদের মধ্যে দুই জন মহিলাও রয়েছেন। একজনের নাম রিয়া দত্ত অপরজনের নাম জানা যায়নি। এই মহিলা দুই বিএসএফের কনস্টেবল। গত সোমবার রাতে গিরিধারী চার নং ব্রীজ এলাকা থেকে এই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী হয়ে।
এই বাহিনীরা একেবারে মূল রাস্তায় এসে দাদাগিরি পার করে একেবারে অপহরণকারী হয়ে গেল অলক সাহা নামে এক যুবককে বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে উঠিয়ে নেওয়ার পর। ঘটনার খবর পেয়ে পরিবার সহ এলাকার লোকজন ছুটে এসে অলক সাহার খোঁজ নিতেই হুমকি প্রদর্শন করে বিএসএফ জওয়ানরা। তখনো পরিবারের লোকজন জানে না অলককে কোথায় নিয়ে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে অরুণ সিং তুমার ৪৩ নং বিএসএফের হেড কনস্টেবল সহ আরো কিছু বিএসএফ জওয়ান মদমত্ত অবস্থায় এসে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের হুমকি ও অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ গুলি করে হত্যার হুমকি। মদমত্ত বিএসএফের তান্ডব লীলা ক্যামেরা বন্দী করতে গেলে, ক্যামেরাতে হাত ও ছিনতাই করে নেওয়ার চেষ্টা চালায় জওয়ানরা।
এই দিকে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে অলকের খোঁজ নিতে চাইলেও পুলিশকেও জানাতে চায় নি। অবশেষে এলাকার লোকজন ও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের চাপে পড়ে জানায় অলককে বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে রাখা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ বিএসএফের কনস্টেবল নালম লোকনাথ ও রিয়া দত্ত সহ আরো কয়েকজন মিলে কাঁটা তার ছেড়ে গিরিধারী রাস্তাতে এসে বাইক সহ অলককে অপহরণ করে লাথি ঘুসি সহ লাঠি দিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ।
এখানে শেষ নয় অপহৃত যুবক অলককে ক্যাম্পে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে চলে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার । এই মারধরের ফলে অলক সাহা সারা শরীর লাল হয়ে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়ে প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হয় । ঘটনা জানাজানি হতেই বিএসএফ জওয়ানরা পুলিশের হাতে তুলে দেয় অলক সাহাকে।বিলোনিয়া হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমে শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেয়। এই অলক সাহা বর্তমানে প্রচন্ড শারীরিক অসুস্থতা বোধ করছে। তবে কেন অলক সাহাকে অপহরণ ও মারধর এই বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি অপহরণ কারী বিএসএফ জওয়ানরা।
তবে জানা যায় অলক সাহার কাছ থেকে নাকি লাল সুরা চেয়েছিল ঐ দিন কাটা তারে দায়িত্বরত জওয়ানরা। অস্বীকার করাতেই এই অপহরণ ও মারধর। এখন প্রশ্ন হলো অলক সাহা যদি পাচারকারী হিসেবে পরিচিত হয়ে থাকে তাহলে কেন লালসুরা বোতল চেয়েছিল । তাহলে কি ঘুষ চেয়েছিল নাকি অলক সাহার সাথে বিএসএফের গোপন লেনদেন রয়েছে , তা না হলে হঠাৎ কেন অলককে অপহরণ করতে হলো সেটাই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই দিকে বড়ো বড়ো রাঘব বোয়াল যারা পাচার সাম্রাজ্য বিস্তার করে আছে নাসির মিয়া, শুকলাল মিয়া ও মিঠু বৈদ্য তাদেরকে কেন বিএসএফ জওয়ানরা জালে তুলছে না। অথচ এদের নামের লিস্ট বিএসএফের কাছে থাকা সত্ত্বেও বিএসএফ জওয়ানরা লাল নোটের কচকচানিতে একেবারে বেহুঁশ জওয়নরা এমনই অভিযোগ । তাই মিঠু বৈদ্যের মতো রাঘব বোয়ালদের ছাড় দিয়ে, চুনোপুঁটিদের জালে তুলে এই ৪৩ নং বিএসএফ জওয়ানরা বাহবা কুঁড়াতে ব্যস্ত হয়ে পরেছে।