Bishalgarh Cpim party office : বিশালগড়, বরাবরই সন্ত্রাসের তালিকায় শীর্ষে যার নাম সেই মহকুমায় আবারো দুর্বৃত্ত দের উশৃঙ্খলতা এবং তাণ্ডব শুরু। মাঝে বেশ অনেকটা সময় চুপ ছিল এরা। কিন্তু আবারো শীর্ষ নেতার অঙ্গুলি হেলনে সাড়া দিয়ে শান্ত বিশালগড় কে অশান্ত করে তুলেছে নেতার দয়ায় পেট পুরে খাওয়া কিছু পেছনের সারির যুবক।
রাজনৈতিক সন্ত্রাসে সেই জোট আমল থেকেই শীর্ষে থাকার তকমা কুড়িয়েছে এই বিধানসভা কেন্দ্রটি। তারপর দীর্ঘ ২৫ বছর বাম শাসনে ও একেবারেই যে শান্তি পূর্ণ ছিল এই কেন্দ্র টি এমনটা নয়। বাম আমলে ও বিরোধী কংগ্রেস কোণঠাসা ছিল এই কেন্দ্রে। তবে তাতে কিছুটা হলেও রেহাই মিলত বিরোধী দের। কিন্তু বর্তমান শাসক বিজেপির আমলে বিরোধী বাম কিংবা কংগ্রেস কাউকেই কোনোভাবে রেহাই দিতে নারাজ বিজেপি শিবির। বিগত ৭ বছরে বিশালগড়ে বিরোধী রা খুব একটা ভালো করে মাথা চারা দিয়ে উঠতে পারেনি। ২০১৮ তে ভানুলাল সাহা বিধায়ক এর কুর্সি আকরে ধরে রাখতে পারলেও ২০২৩ এ যুব আইকন সুশান্ত দেব এর সামনে বামেদের প্রার্থী পার্থ প্রতিম মজুমদার টিকে থাকতে পারেন নি। অবশ্য তাতে ভিন দলীয় আরও কিছু ষড়যন্ত্র ছিল তা ভোটের শতাংশ হিসেব করলেই স্পষ্ট বোঝা যায়। কিন্তু যাই হোক, বাস্তব এটাই যে বর্তমানের বিশালগড় সুশান্ত দেব এর বিশালগড়।

যিনি গত ২৪ ঘণ্টা আগেও বামেদের অপশাসক বলে আখ্যা দিয়েছেন। যিনি বলেছেন বামেরা ২৫ বছর বিশালগড় কে নষ্ট করেছে এবং তাদের আমলে বিশালগড়ে কোনো উন্ন্যন হয়নি। কিন্তু তার এই বক্তব্যের ঘণ্টা ২ এক অতিক্রমের আগেই অফিস টিলা স্থিত সিপিআইএম এর পার্টি অফিসে তারই দলের কিছু যুবক তেড়ে গিয়ে হামলা চালায়। আবারো মুহূর্তের মধ্যেই অশান্ত হয়ে পরে বিশালগড়। এই দায় কার ?
উল্লেখ্য, বিগত ৭ বছরের বিজেপি শাসনামলে ১০ম বারের মতো হামলা হয়েছে বিশালগড় সিপিআইএম মহকুমা কার্যালয়ে। কোনো ধরণের দলীয় কর্মসূচী করতে দেওয়া হয়না বিরোধী দের। পুলিশ বাবুদের কাছে অনুমতি চাইতে গেলে নাকচ করেন থানার ওসি। এমনকি মঙ্গল বারের এই হামলা হুজ্জুতির ঘটনার সময়ে ও বিশালগড় থানার ওসি সঞ্জিত সেন সহ গোটা পুলিশ ফোর্স ঘটনা স্থলে উপস্থিত। তাদের সামনেই চলে এই হুজ্জুতি। পুলিশ আলগা হাতে দোষীদের বেড়িয়ে যাওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দিলেও আইনি দায়িত্ব পালন করেনি। কিসের ভয় ?
স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন সিপিআইএম এর মিছিল সংগঠিত হবার কিছুক্ষণ আগেই বিশালগড় মণ্ডল কার্যালয়ে স্থানীয় বিজেপির যুব কর্মীদের নিয়ে রুদ্ধ দ্বার বৈঠক সেরেছেন জন প্রতিনিধি। আর সেই বৈঠক শেষ হবার কিছুক্ষণ বাদেই অফিসটিলায় বামেদের মিছিলে হামলা । যদিও পাকিস্তান এর সমর্থন করার অভিযোগ এনে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানোর কথা বলেছে হামলা কারীরা। তবে এর পেছনে যে অন্য রহস্য রয়েছে তা ঠাহর করতে পেরেছেন বিরোধীরা। এমনটাই জানিয়েছেন মহকুমা সিপিআইএম।
বিগত কয়েক মাস আগেও বিশালগড়ে বামেরা এক বিশাল মিছিল করেছিল। আর তাতে যে পরিমাণ বামপন্থী দের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে তা ছিল রীতিমতো চোখ ধাঁধানো। আর সেই থেকেই বিশালগড়ে পুনরায় বামেরা মাথা চারা দিয়ে উঠে কিনা সেই আশঙ্কায় ভুগছে বিজেপি শিবির। তার পর থেকেই বামেদের আরও বেশি করে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিশালগড় বিজেপি এমনটাও উঠছে অভিযোগ। তবে মূল কথা, যে বিধানসভা কেন্দ্রের জনপ্রতিনিধি উন্নয়নের কথা বলেন, শান্তির বার্তা দেন, বিরোধী বামেদের সন্ত্রাসী ও অপশাসক বলে আখ্যা দেন তার শাসনামলে বিশালগড় কেন এতটা অশান্ত আর অপরাধ যুক্ত ? উনার অজান্তেই কি ঘটছে সব কিছু ? নাকি উনি জেনেও নিজের দলের লোক কে নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যর্থ ? কি জবাব দেবেন বিধায়ক এই প্রশ্ন গুলোর ? তাকিয়ে আছেন বিশালগড়ের মানুষ।