খবরে প্রতিবাদ

খবরে প্রতিবাদ

Wednesday, 9 July 2025 - 02:13 AM
বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫ - ০২:১৩ পূর্বাহ্ণ

Bishalgarh CPIM Party Office Attack : ত্রিপুরায় বিজেপির তাণ্ডব! শাসকের ছত্রছায়ায় বিরোধীদের ওপর বর্বর হামলা করইমুড়া থেকে বিশালগড়, অতি ভক্তির নগ্ন রূপ!

Bishalgarh CPIM Party Office Attack
1 minute read

Bishalgarh CPIM Party Office Attack : বিজেপি সরকারের ছত্রছায়ায় এই রাজ্য পরিণত হয়েছে এক রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কারখানায়।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা যেন এখন ত্রিপুরায় এক দৈনন্দিন চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ত্রিপুরা আজ পরিণত হয়েছে একদল রাজনৈতিক গুন্ডার খেলাঘরে। বিজেপি-র এই কৌশল নতুন নয়। বিরোধী কণ্ঠ রোধ করতে ভয় দেখানো, ঘরবাড়ি ধ্বংস করা, এবং দলীয় পুলিশ ব্যবহারের অভিযোগ বহুদিন ধরেই উঠছে। আবারো এমনই এক ঘটনা ঘটলো।


মঙ্গলবার বিকেলে করইমুড়া এলাকায় ভয়াবহ সন্ত্রাস চালানো হয় CPI-M কর্মী মোশারফ হোসেনের বাড়িতে। দুর্বৃত্তদের আক্রমণে ভেঙে ফেলা হয় ঘরবাড়ি, তছনছ করে দেওয়া হয় বিভিন্ন জিনিস পত্র। জানা গেছে হামলাকারীরা শাসক দল বিজেপির কর্মী ও সমর্থক।

এ রাজ্যে বিজেপি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মেনে নিতে পারছে না। ভয় দেখিয়ে, বাড়ি ভেঙে, লোকজনকে তাড়িয়ে দিয়ে বিরোধী কণ্ঠ রোধ করতে চাইছে। এটা গণতন্ত্র নয়, এটা একটা রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদ।

প্রসঙ্গত ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় প্রতিষ্ঠিত হয় বিজেপি সরকার। এর পর থেকেই গোটা ত্রিপুরাবাসী দেখছে কিভাবে সন্ত্রাস, অত্যাচার কোনো কিছুই বাদ নেই। বিজেপি সরকার আসার পর থেকে বিরোধী কণ্ঠ রক্তাক্ত হচ্ছে, বাড়ি ঘর পুড়ছে।

ত্রিপুরায় বিজেপি আজ মানুষের ওপর যে নির্যাতন চালাচ্ছে, তা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। তাদের কর্মকাণ্ড ক্রমশ সন্ত্রাসের রূপ নিচ্ছে। বিরোধী দলের কর্মীদের ঘরবাড়ি ভাঙা, ভয় দেখানো, পুলিশকে দলীয় হাতিয়ার বানানো — এগুলো কোনো গণতান্ত্রিক দলের কাজ হতে পারে না। প্রশ্ন উঠছে — বিজেপি কি আদৌ একটি রাজনৈতিক দল, নাকি রাষ্ট্রীয় মদতে পরিচালিত এক সন্ত্রাসী শক্তি?

এখানেই শেষ নয় একই দিনে, আজ বিশালগড়েও ঘটে ভয়াবহ ঘটনা। সিপিআই(এম)-এর শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে আচমকা হামলা চালায় বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরা। পাকিস্তান নিয়ে স্লোগান দেওয়ার মিথ্যা অজুহাতে মহকুমা পার্টি অফিসে ভাঙচুর ও হামলা চালানো হয়। যদিও সিপিআইএম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো বিজেপি এখনো পর্যন্ত প্রমাণ করতে পারে নি। বিজেপি দুষ্কৃতিকারীদের অভিযোগ সিপিআইএমের মিছিলে পাকিস্তানের পক্ষে স্লোগান দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু পাকিস্তান নিয়ে সিপিআইএম কোনও স্লোগান দিয়েছে কি তার কোনো প্রমাণ বিজেপি দিতে পারে নি।

এবার প্রশ্ন কেন এভাবে বার বার বিরোধী কণ্ঠ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বিজেপির তরফ থেকে?
যে দলের মিছিল শুধু মানুষের অধিকারের কথা বলে, তার বিরুদ্ধে এত বড় অপপ্রচার কেন? বিরোধী কণ্ঠকে দমন করতে এতোটা নিচে নামলো বিজেপি?

ত্রিপুরা — ভারতের উত্তর-পূর্বের এক শান্তিপ্রিয় রাজ্য, আজ পরিণত হয়েছে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের মঞ্চে। ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে এক নীরব গণতন্ত্র হত্যার অধ্যায়। যেখানে বিরোধী মানেই শত্রু। যেখানে প্রশ্ন করলেই ভেঙে ফেলা হয় ঘরবাড়ি, চালানো হয় মারধর, আবার কখনো ব্যবহার করা হয় পুলিশকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে।

এই ঘটনায় রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয় গোটা বিশালগড়ে।

রাজ্যে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া এই ধরণের ঘটনা নিয়ে সারা রাজ্যে এত তোলপাড় চললেও বিজেপির উচ্চ পর্যায়ে নেতা-মন্ত্রীদের কাছ থেকে এই নিয়ে কোনো কথাই বলা হচ্ছে না।

এখন দেখার প্রশাসন সঠিক বিচার করতে পারবে কি না এই ঘটনাগুলোর।

For All Latest Updates

ভিডিও