Tripura Drugs News : নেশা বাণিজ্যের নিরাপদ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ত্রিপুরা রাজ্য। অলিতে গলিতে কেবল নেশা কারবারি ও নেশা গ্রস্থ দের আস্তানা। ত্রিপুরা কে করিডোর করে প্রতিনিয়তই বহিঃরাজ্যে এমনকি সীমান্ত টপকে পার্শ্ববর্তী দেশে ও উপার থেকে এপারে বিভিন্ন মাদক পাচারের খবর রয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার ডাক কে মাথায় রেখে কিছু কিছু চেক পোস্টে কাজ করে চলেছে পুলিশ। যদিও বেশিরভাগ চেক পোস্ট গুলিতেই কিছু লেনদেন এর মাধ্যমে মামলা চুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভুমিকা পালন করছে চুরাইবারি থানার পুলিশ। রাজ্যের শেষ সীমান্ত চুরাইবাড়ি র নাকা পেড়িয়ে এবার কোটি টাকার ইয়াবা টেবলেট পাচার করার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। বহি:রাজ্য থেকে ত্রিপুরায় এই মাদক পাচার করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ঠিক সেই সময় চুরাইবাড়ি পুলিশের হাতে আটক হয় চার কোটি টাকার ইয়াবা। সঙ্গে আটক হয় এক যুবক।
ঘটনা রবিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে দশটা নাগাদ। চুরাইবাড়ি পুলিশের নিত্যদিনের নাকা চেকিং চলছিল সেই সময়। তখনই আসাম থেকে ত্রিপুরায় প্রবেশ করে TR05C-1755 নম্বরের একটি পণ্যবাহী জিতো গাড়ি। থানার ওসি খোকন সাহার নেতৃত্বে তৎক্ষণাৎ পুলিশ গাড়িটি আটক করে তল্লাশি চালিয়ে গাড়ি থেকে সেই বিপুল পরিমাণ নেশা সামগ্রী উদ্ধার করে। পরে ডিসিএম কর্জরাম রিয়াং, জেলার পুলিশ সুপার অবিনাশ রাই ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জেরিন পুইয়ার এর উপস্থিতিতে এই বিশাল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট গুলো জব্দ করা হয়।
জানা গেছে মোট আটটি বড় পেকেটে প্রায় আশি হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট ছিল। যার কালোবাজারি মূল্য প্রায় চার কোটি টাকা বলে জানান পুলিশ সুপার অবিনাশ রাই।
সঙ্গে আটক করা হয় নেশা মাফিয়া বলে পরিচিত এক যুবক সঞ্জয় সাহানীকে যার বয়স ২৪ বছর এবং পিতার নাম সুধন সাহানী বলে খবর । ধৃত যুবকের বাড়ি চুরাইবাড়ি রেল গুদাম সংলগ্ন পূর্ব ফুলবাড়ী পঞ্চায়েতের ৪নং ওয়ার্ডে। পুলিশ সূত্রে জানা যায় সে দীর্ঘদিন ধরে নেশার সাম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছিল ঐ এলাকায় । অবশেষে ধরা গেল তাকে। ঐ যুবকের বিরুদ্ধে এনডিপিএস এক্টে মামলা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।