খবরে প্রতিবাদ

খবরে প্রতিবাদ

Sunday, 15 June 2025 - 11:48 PM
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ - ১১:৪৮ অপরাহ্ণ

Bishalgarh Road News : রাস্তার কাজ এর টাকা হাফিজ করলো নেতারা, ছাল উঠে গেল রাস্তার

Bishalgarh Road News
1 minute read

Bishalgarh Road News : উন্নয়ন নয়, চলছে লুটের রাজত্ব। এই কথা বরাবরের মতো বলে বেড়ান রাজ্যের বিরোধীরা। কিন্তু বাস্তবতার সাথে ও তার মিল রয়েছে সেটাই প্রমাণ করলো বিশালগড় এর কিছু চুনোপুঁটি নেতা। একটি রাস্তা সংস্কারের কাজ বাবদ বরাদ্দ টাকা থেকেও লুটে পুঁটে খাওয়া হল অর্থ কড়ি। অবশেষে যা বাকি ছিল সেটা দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে দায়িত্ব খালাশ কন্ট্রাক্টার বাবুর। যিনি আবার বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী।

নব নির্মিত রাস্তার চামড়া উঠে গেছে মাত্র ২ মাসের মধ্যেই। বৃষ্টি হলেই জমছে জল। নির্বাক স্থানীয় মানুষ। কিছু বলতেও পারছেন না, কারণ দিনের বেলা প্রতিবাদ করলেই রাতের আঁধারে বাড়ি ঘরে হামলা হবার ভয়। ঘটনা বিশালগড় এর লক্ষ্মীবিল গ্রাম পঞ্চায়েত এর অধিন পূর্ব লক্ষ্মীবিল এলাকায়। ২০২৩ সালের পর থেকে অপরাধের খোলা ময়দান হয়ে উঠেছে বিশালগড়। নতুন বিধায়ক সেদিকে নজর দাড়ি কতটা করছেন সেটা নিয়ে সন্দেহ তীব্র। তবে শুধু অপরাধ নয়, কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতি যে এই নতুন বিধায়কের আমলে ও বিশালগড়ের পিছু ছারেনি তাতে কোনো সন্দেহ রইলো না। লক্ষ্মীবিল টু বাইপাস অব্দি যে রাস্তা টি রয়েছে সেটি পূর্বতন সরকারের আমলে শেষ বার সংস্কার হবার পর এবার নতুন করে সংস্কার করার জন্যে বাজেট হয়। সেই অনুযায়ী রাস্তার কাজ শুরু হয় প্রায় ২০২৪ এর শেষের দিক থেকেই। এই রাস্তা নির্মাণের কাজ করাচ্ছিল বিশালগড় পিডবলুডি। আর এই রাস্তার কাজের বরাত দেওয়া হয় বাবুল দেবনাথ নামের ব্যক্তি কে। যার অপর পরিচয় , ইনি বিশালগড় মণ্ডলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক। ইনিই এই রাস্তার কাজ করিয়েছেন।


বহু তাল বাহানার পর রাস্তাটির সংস্কার সম্পন্ন হয় প্রায় চলতি বছরের মার্চ – এপ্রিল মাস নাগাদ। কিন্তু ২ মাস যেতে না যেতেই রাস্তার বিভিন্ন অংশের পিচের প্রলেপ উঠে গিয়ে বালি, ইট শুরকি বেড়িয়ে যাচ্ছে। পিচের টুকরো গুলো রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যে কেউ দেখেই বলতে পারবে কি পরিমাণ দু নম্বরি করা হয়েছে এই রাস্তা নির্মাণে। এই রাস্তা নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইলে লক্ষ্মীবিল গ্রাম পঞ্চায়েত এর উপ প্রধান স্মৃতি দেবনাথ , বুথ সদস্য মলিন দাস প্রমুখ দায়িত্ব শীল ব্যক্তিদের মন্তব্য তারা নাকি কিছুই জানেন না । অবশ্য কিছুই জানেন না নাকি না জানার জন্যেও আলাদা দাম দর নির্ধারিত করা হয়েছে সেটা অন্য বিষয়।
এদিকে স্থানীয় সুত্রে খবর , বরাদ্দ অর্থের বেশিরভাগ টাই বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্লাব , স্থানীয় নেতাদের মধ্যে। কিছুদিন আগেই বিশালগড় টু কলকলিয়া রোড নির্মাণের ক্ষেত্রে ও ক্লাবের চাঁদাবাজির জেরে নির্মাণ কাজ স্থগিত হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছিল। তবে কি এই রাস্তার ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছে ?
রাস্তা টি নির্মাণের মূল কারণ, লক্ষ্মীবিল পঞ্চায়েত সংলগ্ন এলাকায় একটি বিকলাঙ্গ সামগ্রী নির্মাণকারী কোম্পানি নির্মাণের প্রকল্প গৃহীত হবার দরুন কাচামাল বহন কারী গাড়ি গুলো এই পথ ধরে লক্ষ্মীবিলে প্রবেশ করার কথা। কিন্তু ২ মাস যেতে না যেতেই রাস্তার যা পরিণতি হয়েছে তাতে করে এই পথ ধরে বড় কোনো ট্রাক কিংবা লড়ি প্রবেশ করলে নির্ঘাত রাস্তাটি পুনরায় পূর্বের দশায় পরিণত হবে।


বলা বাহুল্য, এই একই রাস্তা বাম আমলে একবার নির্মিত হবার পর টানা অন্তত দুই বছর এই রাস্তা সংস্কারের প্রয়োজন পরে নি। কিন্তু বর্তমানে উন্নয়নের ত্রিপল ইঞ্জিনের জোরে ২ মাস এর মেয়াদ ও পেরুতে পারল না রাস্তাটি। এর পূর্ণ তদন্ত হবে কি ? কোথাও গেল বরাদ্দ অর্থ ?কেন এতো নিম্নমানের কাজ করানো হল রাস্তা টিতে ? জানতে চাইছেন লক্ষ্মীবিল বাসী । অতঃপর বিধায়ক এর হস্তক্ষেপ ও চাইছেন তারা।

For All Latest Updates

ভিডিও