Jitendra Choudhury : ত্রিপুরায় সংঘটিত নৃশংস শরিফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে ও তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সিপিআই(এম)-এর পলিটব্যুরো সদস্য ও বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী বৃহস্পতিবার মৃত শরিফুলের বাড়িতে গিয়ে শোক সন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ান। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ শংকর প্রসাদ দত্ত, নারী নেত্রী কৃষ্ণা রক্ষিত, পার্টির সদর বিভাগীয় সম্পাদক অমল চক্রবর্তী ও অন্যান্য নেতৃত্ব।
পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সংবাদমাধ্যমকে জিতেন্দ্র চৌধুরী জানান , বিভিন্ন ধর্মের ছেলেমেয়েরা প্রেমে পড়তে পারে—এটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু সমাজের কিছু অপশক্তি এসব মেনে নিতে পারে না। আর সেই কারণেই এমন জঘন্য ধরণের ঘটনা ঘটেছে। তিনি শাসক দলের এক শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগ আনেন। বলেন, “রাজ্যে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানো হচ্ছে। এই চক্রান্ত রুখতে সমাজের সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি এদিন অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুন নিখোঁজ হন আগরতলা ইন্দ্র নগরের যুবক শরিফুল ইসলাম। এরপর পরিবার এনসিসি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে। তদন্তে নেমে পুলিশ মঙ্গলবার চিকিৎসক দিবাকর সাহাকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে রোমহর্ষক তথ্য।
জানা যায়, ত্রিকোণ প্রেমঘটিত কারণে প্রেমিকার দ্বিতীয় প্রেমিক দিবাকর সাহা শরিফুলকে হত্যা করে। প্রেমিকা নবনীতা দাস ও অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে ৮ জুন রাতে দক্ষিণ ইন্দ্রনগরের জয়দীপ দাসের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শরিফুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় । দেহ লুকাতে আগেই কেনা হয়েছিল ট্রলি ব্যাগ। সেই ব্যাগে ভরে দেহটি রাখা হয়। পরদিন দিবাকরের বাবা-মা এসে মৃতদেহটি গাড়িতে করে নিয়ে গিয়ে গন্ডাছড়ার নিজেদের দোকানের ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন।
পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ছয়জনকে গ্রেফতার করে এবং দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর মৃতদেহ উদ্ধার করে। বুধবার সন্ধ্যায় দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এই ঘটনা কে ঘিরে রাজ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও এই নিয়ে রাজ্য বিজেপির মাইনোরিটি মোর্চার তরফ থেকেও ধিক্কার জানানো হয়েছে। করা হয়েছে মোমবাতি মিছিল। কিন্তু আঁখেরে দোষীরা কতটা কঠোর সাজা পাবে সেটাই দেখার বিষয়।