16 voters left mwatha to join congress
মহারাজা প্রদ্যুত কিশোর মানিক্যের শখের তিপ্রা মথা দল জবে থেকে বিজেপির শরিক হিসেবে নিজেকে প্রকাশিত করেছে তবে থেকেই দলে আভ্যন্তরীণ ক্ষোভ ঘনীভূত হতে শুরু করে দিয়েছে। সেটা সর্ব সমক্ষে প্রকাশিত যদিও সেভাবে হয়নি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা জাহির করেছেন বহু জনজাতি। আর ঠিক একই ভাবে এবার মহারাজার প্রতিশ্রুতি গুলোকে অপ্রাসঙ্গিক স্বীকৃতি দিয়ে দল থেকে মুখ ফেরালো এক দল ভোটার।
আজ পেঁচারথল বিধানসভা কেন্দ্রে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিষ কুমার সাহার উপস্থিতিতে তিপ্রা মথা দল ছেড়ে ৫ পরিবারের ১৬ জন ভোটার জাতীয় কংগ্রেস দলে যোগদান করেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা দিয়ে বরণ করে নেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। উল্লেখ্য, এই পেঁচারথল বিধানসভা কেন্দ্র ও এককালে বামেদের ঘাটি বলেই পরিচিত ছিল। ২০০৩ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত টানা ১০ বছর এই কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তৎকালীন বাম বিধায়ক অরুন কুমার চাকমা। তার আগে ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ অব্দি বিধায়ক ছিলেন অনিল চাকমা।
২০১৮ সালে এই কেন্দ্রে বিজেপি দলীয় প্রার্থী সান্তনা চাকমার জয় হয়। বর্তমানে এই কেন্দ্রের বিধায়িকা সান্তনা চাকমা। উন্নয়নের নিরিখে বিচার করলে এই কেন্দ্রে বিজেপি বিধায়িকা দায়িত্ব ভার গ্রহনের পর থেকে কি কি উন্নয়ন করেছেন তাঁর কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া ও মুশকিল। জনজাতিদের সার্বিক সমস্যার সমাধান না হবার কারণেই একটা বিরাট অংশ ক্রমশই মহারাজার “গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ডের” প্রলোভনে পা দিয়ে তিপ্রা মথায় যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি বিজেপির সাথে মথার জোট হবার পর সেই প্রতিশ্রুতি কে নিমেষেই আবছা হতে শুরু করেছে সেই নিয়ে জনজাতিদের একটা অংশ নিশ্চিত হয়ে গেছেন। আর তাই এখন দল ছাড়ছেন অনেকেই।
তবে প্রশ্ন জাগতে পারে, বামঘাটি পেঁচার থলের জনজাতি রা তবে বামেদের পতাকা তোলে কেন শামিল হচ্ছে না? কংগ্রেসই কেন?
উল্লেখ্য, চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে বিজেপির বিপরীতে ইন্ডিয়া জোট এর লড়াই চলছে। সেক্ষেত্রে ইন্ডিয়া জোট কে রাজ্য বামফ্রন্ট ও যথাযত সমর্থন জানিয়েছে। অন্যদিকে অভিজ্ঞ মহলের দাবী রাজ্যে বামেদের শাসন পুনরায় কায়েম হতে গেলেও সেটা একলা বাম পন্থিদের দ্বারা সম্ভব নয় । সেই সমস্ত মাথায় রেখেই এবং অবশ্যই কংগ্রেসের মতাদর্শ কে পছন্দ এবং সমর্থন জানাতেও হয়তো বা কংগ্রেসের দিকে ঝুকতে শুরু করেছেন তারা। কারণ যাই হোক, তিপ্রা মথার ঘর থেকে যে ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছে জনজাতিরা তাঁর প্রমাণ আজকের এই যোগদান তা বললে খুব একটা ভুল হবে না।