Sugar smuggling hiked in Bishalgarh
পাচার কারবারের বলি এবার রাজ্যের ৭ জন। তার মধ্যে সম্প্রতি একজন নিহত এবং অপরজন গুরুতর আহত অবস্থায় জিবি তে চিকিৎসাধীন। আর সেই ঘটনার জেরে এবার উত্তপ্ত বিশালগড় এর চেলি খোলা এলাকা। ক্ষোভের আগুনে পুড়েছে টায়ার। আম জনতার দাবড়ানি খেয়ে পলাতক পুলিশ।
উল্লেখ্য, চিনি পাচারকারী গাড়ির ধাক্কায় এখনো পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে 7 জন, আহত 21 জনের ও অধিক। এরপরেও বন্ধ হচ্ছে না চিনির অবৈধ বাণিজ্য। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চিনি পাচারকারীদের গাড়ির চাপায় এক বাইক আরোহীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভে পরিণত হয় বিশালগড়ের চেলিখলা এলাকা। দফায় দফায় সংঘর্ষ , পুলিশের তিনটি গাড়িতে ভাঙচুর এবং অগ্নি সংযোগ।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে প্রকাশ , বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশালগড় থানাধীন চেলি খোলা এলাকায় দ্রুতগামী চিনি বোঝাই কারী এক বোলেরো গাড়ির ধাক্কায় অপরদিকে TR07C5150 নম্বরের বাইকে থাকা দুজন ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে বিশালগড় অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা আহত দুজনকে ঘটনাস্থল থেকে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাইক চালক বিষ্ণু লোধকে মৃত বলে ঘোষণা করে এবং অপর ব্যক্তি বিজয় দাস কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জিবি হাসপাতালের রেফার করে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় চেলিখলা এলাকায়। স্থানীয় উত্তেজিত জনতা এই ঘটনার ফলে রাস্তা অবরোধ করেন এবং মাঝ পথেই টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিশালগড় মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পান্না লাল সেন, বিশালগড় থানার ওসি রানা চ্যাটার্জি সহ বিশাল পুলিশ টিএসআর এবং সিআরপিএফের বাহিনী। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাস্তা অবরোধ শুরু হলেও রাত প্রায় এগারোটা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ মুক্ত করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ, উল্টে স্থানীয়দের দাবড়ানি তে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে উল্টো পায়ে ফিরে যেতে দেখা যায় পুলিশ কে। এমন চিত্র চেলি খলায় নিতান্তই বিরল।
এই ঘটনার পরে বিশালগড় থানার একটি জিপসি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ঘটলে পরিস্থিতি অন্যরকম মোড় নেয়। পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ শুরু করেছিল বটে কিন্তু অপর পাশ থেকে পুলিশের উপর ইট পাটকেল ছুড়া শুরু হলে পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে কিছুটা দূরে সরে এসে অন্ধকারে গাঁ ঢাকা দিয়ে বসে পরে। ঘটনাস্থলে বিশালগড় থানার ওসির গাড়িও ভাঙচুর হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব সূত্রধরও। সিআরপিএফ জোয়ানরা অবশ্য পরে পালটা ধাওয়া করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মোট পাঁচ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেব। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে গোটা ঘটনা বিস্তারিত ভাবে জেনে বিশালগড়ে চিনির অবৈধ কারবার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার জন্য এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করার ঘটনায় যারা অভিযুক্ত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।