খবরে প্রতিবাদ

খবরে প্রতিবাদ

Monday, 23 June 2025 - 01:07 PM
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ - ০১:০৭ অপরাহ্ণ

Sudip Roy Barman attacked : গোলাপ সংবর্ধনার পরেই আক্রান্ত কংগ্রেস নেতা সুদীপ, ক্ষণিকের সাধুবাদ কুড়িয়ে আবারো বিতর্কের মুখে বিজেপি

Sudip Roy Barman attacked
1 minute read

Sudip Roy Barman attacked

দেখুন আর শিখুন – সুদীপ রায় বর্মণ কে গোলাপ দেওয়ায় এভাবেই কিছু লোক সাধুবাদ জানাচ্ছিল শাসক শিবির কে। কাকড়া বনে মনোনয়ন জমা কালীন বিজেপি ও কংগ্রেস নেতৃত্ব মুখোমুখি হতেই কোনো ধরণের প্রতিকূল পরিস্থিতি যেনো তৈরি না হয় তা সুনিশ্চিত করতে পরিকল্পিত ভাবেই সুদীপ রায় বর্মণ এর শার্ট এর পকেটে গোলাপ গুজে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই ছবি দেখে কি যে উল্লাস ! ক্ষণিকের মধ্যেই ভিড় জমে যায়। যেন কিছু একটা বিশাল অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে গেল। অপ্রত্যাশিতই বটে।
তার চাইতে ও অপ্রত্যাশিত ঘটনা যে তখনও সুদীপ দের পথ চেয়ে বসেছিল সেটা হয়তো তারা জানতেন না। কাকড়া বন এর পর উদয়পুর টেপানিয়া তে নমিনেশান জমার কর্মসূচী তে পৌঁছাবার পথেই এক দল দুষ্কৃতী হামলে পড়লো নেতৃত্ব ও প্রার্থীদের উপর। করা হল আক্রমণ। ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েক জনের মাথা। রক্তাক্ত অবস্থায় পথের ধারে বসে পড়েন আহতরা। আহত হন সুদীপ বাবু ও। উনাকে সেখান থেকে কোনোক্রমে উদ্ধার করে প্রাণ বাঁচিয়ে নিয়ে আশা হয়।
পঞ্চায়েত নির্বাচন এসেছে মানেই রাজ্যের ক্ষমতা শালী কিছু সমাজদ্রোহীরা যেন সাপের পাঁচ পা দেখে ফেলেছে। এদের উৎপাতে হাল্কা করে উস্কানি দিচ্ছে কতিপয় রাজনৈতিক মস্তক ও। তারা কারা সেটা আর ভেঙ্গে বলার কারণ নেই। রাজ্য জুড়ে বিরোধী শিবির চূড়ান্ত ভাবে আক্রান্ত মানেই নিশানা একদিকে। শাসক শিবির এর কে বা কারা এধরণের কাজের পেছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে এই প্রশ্নের জবাব না মিললেও ইঙ্গিত কিন্তু ভুল নয়।
এদিকে গোলাপ দিয়ে সুদীপ বাবুর মন ভোলাবার চেষ্টা কিংবা সন্ত্রাসী আক্রমণ এর ঘটনা সংগঠিত হবার পেছনে নিজেদের দায় এড়িয়ে পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা যে পুরোপুরি ভাবেই ফ্লপ সেটাও কিন্তু বুঝতে হবে। রাজ্যের মানুষ কিন্তু অনেকটাই সজাগ। বিগত ২৫ বছরের হিসেবের সাথে শেষ ৬ বছরের হিসেব মেলালেই মানুষ বুঝে যাচ্ছেন সন্ত্রাসের পরিমাণ টা ঠিক কোন আমলে বেশি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো একটি নির্বাচনের পূর্বে বিরোধী দলীয় একজন প্রার্থী কে খোলা রাস্তায় পরিকল্পিত ভাবে খুন করা, দিন দুপুরে পুলিশের সামনে দুষ্কৃতী দের অতর্কিত আক্রমণ, হামলা হুজ্জুতি, অথচ উপর মহলের তরফ থেকে পরিস্থিতি সামলানোর নির্দেশ নেই তাদের। মানে রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করার নামে যে আইন কে নিজের হাতের মুঠোয় বন্দী করে ফেলা হয়েছে সেটা বুঝতে কোনো সমস্যা কারোরই হচ্ছে না। এমতাবস্থায় বিরোধী শিবির কে একেবারে নিরস্ত্র এবং কোণঠাসা করেই রাজ্যের সব কটি পঞ্চায়েত দখলে নেওয়া অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায় ১০০% জয়লাভ করাটাই কি মূল টার্গেট ? তাই কি এই তুঘলকি রাজত্ব কায়েম ?

ভিডিও