খবরে প্রতিবাদ

খবরে প্রতিবাদ

Monday, 23 June 2025 - 01:37 PM
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ - ০১:৩৭ অপরাহ্ণ

Sudip Jiten stopped at midway : গণ্ডা ছড়া নিয়ে লুকোচুরি খেলা পুলিশের, চাপিয়ে যাওয়া হচ্ছে গণ্ডা ছড়ার বাস্তব পরিস্থিতি , বাঁধাপ্রাপ্ত সাংবাদিকেরা ও, কিসের ভয় বিজেপির

Sudip Jiten stopped at midway : গণ্ডা ছড়া নিয়ে লুকোচুরি খেলা পুলিশের, চাপিয়ে যাওয়া হচ্ছে গণ্ডা ছড়ার বাস্তব পরিস্থিতি , বাঁধাপ্রাপ্ত সাংবাদিকেরা ও, কিসের ভয় বিজেপির
1 minute read

Sudip Jiten stopped at midway

গণ্ডা ছড়ায় যে ঘতনা সংগঠিত হয়েছে, সেই ঘটনা নিয়ে সরকারের এতো ভয় কিসের ? কেন মাঝ পথে আটকে দেওয়া হল বিরোধী দলীয় নেতাদের গাড়ি ? সিপিএম থেকে কংগ্রেস সব বিরোধী দল গুলিকেই প্রশাসনিক বাঁধা। গণ্ডা ছড়ায় কি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার ? যা প্রকাশ্যে আসলেই বেকায়দায় পড়তে পারে রাজ্যের বর্তমান শাসক দল বিজেপি ?
ধলাই ত্রিপুরার গণ্ডা ছড়া মহকুমায় এক রিয়াং ছাত্রের মৃত্যু কে ঘিরে রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল। রিয়াং এবং তিপ্রাসা সম্প্রদায় ভুক্ত এক দল দুষ্কৃতী কারী ছাত্র পরমেশ্বর রিয়াং এর হত্যার প্রতিশধ নিতে গিয়ে গণ্ডা ছড়া স্থিত বাঙ্গালী পরিবার গুলোর উপর চূড়ান্ত আক্রমণ চালায় বেশ কিছুদিন যাবত। গত ৭ই জুলাই রথের মেলা থেকেই শুরু হয় এই গণ্ডগোল। পরমেশ্বর রিয়াং এর মরদেহ গণ্ডা ছড়ায় পৌছাতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি। জারি করা হয় ১৬৩ ধারা। তথাপি এদিন গণ্ডা ছড়ায় বাঙ্গালী পরিবারের উপর আক্রমণ, বাড়িঘর ভাংচুর, দোকান পাঠে অগ্নি সংযোগ এবং লুট পাটের মতো ঘটনা সংগঠিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পরে।
এর দুদিন পরেই সেখানে ছুটে যান প্রদ্যুত কিশোর। এছাড়াও শাসক বিজেপি দলীয় নেতা নেত্রী মন্ত্রী সকলেই ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন এবং সকলকে নিশ্চিত করেন যে গণ্ডা ছড়ায় পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে আজ বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী এবং বিরোধী কংগ্রেস দলীয় বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ গণ্ডা ছড়ার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবার পথে বিশাল সংখ্যক পুলিশ প্রশাসন তাদের কে মাঝ পথেই আটকে দেয়। যা নিয়ে পুলিশের সাথে উভয় পক্ষেরই তুমুল বাক বিতণ্ডা হয়।
বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীর প্রশ্নের মুখে পরে পুলিশ রীতিমতো কোনো যুক্তি সঙ্গত জবাব দিতে না পারলেও আটকে দেওয়া হয় গাড়ি। যেতে দেওয়া হয়নি জিতেন্দ্র বাবু কে। অন্যদিকে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের সাথে ও বেশ দীর্ঘক্ষণ বাক বিতণ্ডা চলে।
১৬৩ ধারা জারি রয়েছে বলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ এই ১৬৩ ধারা জারি থাকাকালীনই শাসক দলীয় নেতা মন্ত্রী এমনকি তিপ্রা মথা দলের সুপ্রিমো ও গণ্ডা ছড়ায় প্রবেশ করেছেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে কোনো রূপ বাঁধা বিপত্তি দেওয়া হয়নি। পুলিশের বক্তব্য তারা রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় আসীন। তাই তাদের কে আটকানো যায়না। যার পরিপ্রেক্ষিতে বোঝা যায় যে রাজ্যের গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থা তাই দলদাসে পরিণত হয়েছে যেখানে একই নিয়ম দুটি ভিন্ন শ্রেণীর জন্যে ভিন্ন ভাবে প্রযোজ্য। আজ উভয় দলীয় নেতাদের কে আরও বলা হয়েছে যে তারা যদি গণ্ডা ছড়ায় যান তবে লোক জমায়েত হবার ফলে যে কোনো সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ ১৫ই জুলাই শাসক দলীয় মন্ত্রী টিংকু রায়, সুবল ভৌমিক , রেবতী ত্রিপুরা দের গণ্ডা ছড়া পরিদর্শনের দিনেও একই ভাবে জনজমায়েতে ভরে উঠেছিল গণ্ডা ছড়া বাজার এলাকা। কিন্তু সেখানে পুলিশের কোনো রূপ দায়িত্ব বোধ জাগেনি।
তবে কি ১৬৩ ধারার নাম করে বিরোধী দের এবং সাংবাদিক দের কে মাঝ পথে আটকে গণ্ডা ছড়ার আসল পরিস্থিতি সবার কাছে গোপন করার চেষ্টা করছে প্রশাসন ? গণ্ডা ছড়ার অভ্যন্তরে কি চলছে, কেমন আছেন ক্ষতি গ্রস্থরা – সব কিছু লুকানর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার ও পুলিশ ?
তার মানে কি এখনো গণ্ডা ছড়ায় পরিস্থিতি করুন অবস্থায় ?

ভিডিও