রাশিয়ার অস্ত্রে বাজীমাৎ পাকিস্তান, বিশ্বের সব চাইতে শক্তিশালী অস্ত্র কেন বলা হয় এস ৪০০ কে ?
ভারতের ‘সুদর্শন চক্র’এস ৪০০ এর আঘাতে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন অবস্থা পাকিস্তানের। রুশ অস্ত্রের পরাক্রমে ‘ত্রাহি ত্রাহি” করছে সে দেশ টি। পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা আটকে দিয়ে সর্ব ক্ষেত্রে চর্চিত ও প্রশংসিত এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যার আরেক নাম ‘সুদর্শন চক্র’।
পেহেলগাঁও কাণ্ডের পর দুই দেশের আভ্যন্তরীণ বিবাদ ক্রমশই বাড়তে থাকে। যা ৭ই মে থেকে যুদ্ধের আকার ধারন করে। প্রথম দিকে ভারতের সেনা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও সীমান্তের ৯টি জঙ্গি ঘাটি গুড়িয়ে দেয়। আর তাঁর পাল্টা দিতে গিয়ে ভারতের ১৫টি জায়গা চিহ্নিত করে নিশানা দাগে পাকিস্তান। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করতে পারেনি। ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের কাছে নতি স্বীকার করতে হল পাকিস্তান কে। তাঁর পরেও থামেনি তারা। পরের বার দ্বিতীয় দফায় আবারো আক্রমণ হান্তে গিয়ে আরও একবার ধরাশায়ী হতে হয়।
যুদ্ধ ক্ষেত্রে পাক সেনারা ঝাকে ঝাকে ড্রোন উড়িয়ে দিলেও ভারতের ভূমি থেকে আকাশের দিকে নিশানা দেগে থাকা এস ৪০০ এর কাছে ধরাশায়ী হয় তারা। আর সেই অস্ত্রই বাহবা কুড়িয়ে চলেছে গোটা বিশ্ব থেকে। খবরের শিরোনামে রয়েছে ভারতের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’।
‘অপারেশন সিঁদুর’ এর পর গত ৭ এবং ৮ মে রাতে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের ১৫টি শহরের সেনাছাউনি এবং ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাক সেনা। ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রে ধ্বংস যজ্ঞ চালানোর পরিকল্পনা ছিল ইসলামাবাদের। কিন্তু, তাতেই বাদ সাধে রুশ নির্মিত এস-৪০০।
২০১৮ সালে মস্কোর থেকে মোট পাঁচটি এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনে ভারত।
এবার জেনে নেওয়া যাক এই অস্ত্রের বিশেষত্ব এবং কিভাবে কাজ করে এটি ঃ-
হাতিয়ারটির মোট তিনটি অংশ রয়েছে। অত্যাধুনিক রেডার, কমান্ড-কন্ট্রোল এবং ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসাবে একে গণ্য করা হয়।
রাশিয়ার আল্মাজ আন্তেই সংস্থা এটি নির্মাণ করেছে। এই অস্ত্র টি যুদ্ধ বিমান, ড্রোন এবং ব্যালেস্টিক মিসাইল ধ্বংস করতে পারে।
এটি মূলত , ৪ ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে।
৪০এন সিক্স – ৪০০ কিমি রেঞ্জ থেকে awacs ও বোমারো বিমান কে টার্গেট করে
৪৮এন সিক্স – ২৫০ কিমি রেঞ্জ থেকে যুদ্ধ বিমান কে টার্গেট করতে পারে
৯এম৯৬ই২ – ১২০ কিমি রেঞ্জ , হাই মোবাইল টার্গেটের জন্য
৯এম৯৬ই – ৪০ কিমি রেঞ্জ থেকে , ড্রোন বা মিসাইলের জন্যে ব্যবহৃত হয়।
কিভাবে এটি কাজ করে ?
প্রথমে এর রাডার অংশটি শত্রু কে চিহ্নিত করে প্রায় ৬০০ কিমি দুরত্ব থেকেই।
এটি একসঙ্গে ৩০০ টি লক্ষ্য ট্র্যাক করে ডেটা বিশ্লেষণ করে
ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটে এটি বার্তা পাঠায়
ক্ষেপণাস্ত্র গুলো নিক্ষেপের উদ্দেশ্যে টার্গেটের দিকে এগিয়ে যায়
টার্গেটের কাছে পৌঁছে বিস্ফোরণ ঘটায়
মস্কোর এই হাতিয়ারের ব্যবহার কিন্তু মোটেই সহজ নয়। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, একসঙ্গে ১০০-র বেশি লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত এবং তা নিষ্ক্রিয় করা রুশ এস-৪০০র বা হাতের খেলা। গোটা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি গাড়ির উপরে থাকায় সেটিকে অনায়াসেই এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া সম্ভব। বলা বাহুল্য যুদ্ধ কালীন এই পরিস্থিতি কবে নাগাদ শান্ত হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে প্রস্তুত রয়েছে ভারত। নজরদারি রাখা হচ্ছে বরাবর।
Sudarshan Chakra or Russian S 400