Sonamura health centre
খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা দপ্তর গুলোর বেহাল দশা। ত্রিপুরায় সুশাসন কায়েম করতে পুরোপুরি ভাবেই ব্যর্থ রাজ্যের বিজেপি সরকার। এবার ডঃ মানিক সাহার হাতে নেস্ত স্বাস্থ্য দপ্তরের দুরবস্থার চিত্র আবারো প্রকাশ্যে।
ত্রিপুরায় অগণিত চিকিৎসা কেন্দ্র, বৃহৎ মাপের দুটি রেফারেল হাসপাতাল , মহকুমা ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র সমস্ত থাকা সত্বেও নিত্যদিন ভোগান্তির শিকার পরিষেবা গ্রহন করতে যাওয়া রোগীরা। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বেহাল অবস্থা নিয়ে নিত্যদিন রোগী দের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠে আসলেও , পরিষেবা উন্নয়নে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর একেবারে ঠুঁটো জগন্নাথের ভূমিকায়।
এবার স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে ছেলে খেলার অভিযোগ উঠে এসেছে সোনামুড়া মহকুমার সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে। চিকিৎসক স্বল্পতায় ভুগছে সোনামুড়া সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র টি!! আর তাই সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন না রোগীরা! সমস্যার মূল কারণ হচ্ছে চিকিৎসক স্বল্পতা। গোটা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বর্তমানে চিকিৎসক মাত্র একজন।
সোনামুড়া সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মোট তিনজন চিকিৎসক রয়েছেন। যার মধ্যে একজনকে ইলেকশানের ডেপুটেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজধানী আগরতলা তে। বাকি যে দুজন চিকিৎসক রয়েছেন তার মধ্যে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক চিকিৎসক ডায়াল দেববর্মা। এমত অবস্থায় দাঁড়িয়ে দিনরাত পরিষেবা দিয়ে হাঁফিয়ে যাচ্ছেন সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এমওআইসি পার্থ প্রতিম দাস।
একই চিত্র একাধিকবার উঠে এসেছে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতাল থেকেও। কিছুদিন আগেও বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসক স্বল্পতার কারণে এবং চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণ জানিয়ে একাধিক রোগী ও তাদের পরিবার ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।
আজ সোনামুড়া থেকেও একই চিত্র উঠে আসছে। এরকম অবস্থা চলতে থাকলে দিন-রাত পরিষেবা দেওয়াটা একজন ডাক্তারের পক্ষেও কষ্টকর হয়ে যাবে । আর এর ফলে রোগীরা সঠিক পরিষেবা থেকে ব্যাহত হবে।
রাজ্যের প্রায় প্রতিটি মহকুমা হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একই অবস্থা। সার্বিক পরিস্থিতি জানা সত্বেও চিকিৎসা কেন্দ্র গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে চিকিৎসক নিয়োগের কোনো ব্যবস্থা নেই। এদিকে নির্বাচন এর অজুহাতে রাজ্যের সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের সমস্যাদির দিকে নজর দিচ্ছেন না সরকারি আমলারা। এমনটাও অভিযোগ উঠছে। যদি এমনটাই চলতে থাকে তবে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে আশা ভুক্তভোগী দের মধ্যে ঘনিভুত হওয়া ক্ষোভ একদিন বড় ধরণের আকার ধারন করবেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। অতএব রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের উন্নয়নে রাজ্য সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা একান্ত প্রয়োজনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।