Malegaon blast case
মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞার ফাঁসির দাবী জানাল এনআইএ
সতের বছর পর দেশদ্রোহিতার অপরাধে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের ফাঁসির দাবী জানালো জাতীয় তদন্ত কারী সংস্থা। ২০০৯ সালের মুম্বাই মালেগাও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন এই প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ। তাঁর সাথে আরও ৭ জনের নাম উঠে এসেছে। উল্লেখ্যজগ্য বিষয়, উনি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একজন সক্রিয় নেত্রী। যারা বলছেন সন্ত্রাসের ও জাত হয় , তাদের বোধয় আরও একবার বিবেচনা করার প্রয়োজন।
মুম্বাই থেকে প্রায় ২৭০ কিমি দূরত্বে অবস্থিত মালেগাও। ২০০৮ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর আচমকা সন্ত্রাসী বিস্ফোরণে কেপে উঠেছিল এই শহরটি। ঘটনা স্থলেই প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬ জন। এছাড়া শতাধিক আহত। ছিন্ন ভিন্ন দেহাংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে ছিল যত্র তত্র। ঘটনার জেরে তদন্ত শুরু হয়। জাতীয় তদন্ত কারী সংস্থা এই গোটা ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব সামলাতেই বেড়িয়ে আসে দোষীদের নাম। তাঁর মধ্যে অন্যতম প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর তথা সাধ্বী প্রজ্ঞা। যিনি কিনা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এর একনিষ্ঠ সদস্যা ও । মালেগাও বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রজ্ঞা উতপ্রত ভাবে জড়িয়ে ছিল। তাঁর সাথে আরও ৭ জন এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত মূলে ২৯১ জনের সাক্ষবাক্য গৃহীত হয়েছে মুম্বাই এর বিশেষ আদালতে। আগামী ৫ই মে এই মামলার রায় ঘোষিত হতে চলেছে। তাঁর আগেই জাতীয় তদন্ত কারী সংস্থা এনআইএ প্রজ্ঞা সহ তাঁর আরও ৭ সাগরেদ কে ফাঁসির সাজা দেবার আর্জি জানিয়েছেন।
গৃহীত মামলায় বিচারক এ কে লোহটির এজলাস মূলে প্রায় দেড় হাজার পাতার তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছিল এনআইএ। সেই রিপোর্টেই প্রজ্ঞা-সহ বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৬ এবং ১৮ ইউপিএ ধারা ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ৩০২, ৩০৭, ৩২৪,৩২৬, ৩২৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। জাতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, শুনানি শেষ হলেও বিচারক রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন। যা আগামী ৫ই মে ঘোষিত হবে।
এদিকে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের সাথে জড়িত থাকা তাঁর সাগরেদ দের তালিকায় রয়েছে কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত,মেজর রমেশ উপাধ্যায়, সমীর কুলকার্নি , অজয় রোহিরকর, স্বামী দয়ানন্দ পাণ্ডে ও সুধাকর চতুর্বেদীর নাম। এদের প্রত্যেকেরই ফাঁসির সাজা জানিয়েছে এনআইএ।
ভু স্বর্গ কাশ্মীরের পহেলগাঁও ঘটনার পর থেকে দেশ জুড়ে আরও একবার ধর্মের নামে বিভেদ মূলক বার্তা বাহিত হচ্ছে। হিন্দু দের বেছে বেছে হত্যা করা হয় পহেল গাঁও এ। তাই সন্ত্রাস মানেই ইসলাম কে আখ্যা দেওয়া হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এদিকে ভারতের অন্তস্থলে থেকে , বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যা হয়ে নিজেই প্রজ্ঞা দেশের অন্দর মহলে যে সন্ত্রাস কায়েম করেছেন সেই নিয়ে কেউ কিছুই বলছেন না। সুতরাং সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম হয়না , এটাই বাস্তবে সত্য। সন্ত্রাসী যে কেউ হতে পারে। ১৭ বছর আগে ঘটে যাওয়া মালেগাও বিস্ফোরণ তাঁর আরও এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ।