Ganamanch press meet
দেশে বিগত ১০ বছর ধরে মোদী সরকার যে স্বৈরাচার কায়েম করেছে, তাতে ভারত বাসীর জীবন দুর্বিষহ হয়ে গেছে। তানাশাহ কায়েম করেছে এই সরকার। একনায়কতন্ত্র চালাতে চাইছে দেশ জুড়ে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও মানুষের স্বাধীনতা নেই। দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে মানুষ। বেকারদের চাকরি নেই, পরীক্ষা দিয়েও নিয়োগ নেই, শূন্য পদ পূরণ নেই, দ্রব্যমূল্যের কমতি নেই, সর্বোপরি শান্তি নেই। মানুষের মনে ভয় ও ত্রাস বিরাজ করছে।
কেউ মুখ ফুটে প্রতিবাদ করতে গেলেই দুষ্কৃতী দের হাতে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। “গণপ্রজাতান্ত্রিক দেশ ভারত” এখন শুধু নামেই গণপ্রজাতন্ত্রী।
মানুষ ২০১৪ সালে দেশ এর ভবিষ্যৎ সুন্দর হবার আশা নিয়ে একটি নতুন সরকার কে ক্ষমতায় এনেছিল। কিন্তু সেই সমস্ত আশা ভরসায় রীতিমতো জল ঢেলে শুধু মাত্র নিজের পকেট গরম করা আর গোটা দেশ টাকে বিক্রি করে দেবার ফন্দি এঁটেছে এই বিজেপি সরকার। তাই বিরোধী রা দীর্ঘ ১০ বছরে দেশের অবনতির চিত্র দেখে অবশেষে এক জোট হয়ে ময়দানে নেমেছেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দলে দলে সবকটি বিরোধী শিবির ইন্ডিয়া জোটের অংশ হয়ে গেছেন। বৃহস্পতিবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সন্মেলনের মধ্যে দিয়ে গনমঞ্চ রাজ্যের সমস্ত ভোটারদের প্রতি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোট কে সমর্থন করে ভোট প্রদান করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিন সন্মেলনে উপস্থিত গণমঞ্চের নেতৃত্বরা রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সার্বিক চিত্র ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিজেপি সরকার এর তীব্র সমালোচনা করেন। বিরোধীদের দমন করা অপ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এই সরকার। কিন্তু তাতে দমবে না বিরোধীরা। রাজ্যের দুই আসনে ইন্ডিয়া জোট মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচুর সংখ্যক জনগণ এগিয়ে এসেছেন। বিজেপি যেভাবে শ্লোগান দিয়ে দাবী করছে যে এবার এর নির্বাচনে তারা ৪০০ এর ও বেশি আসনে জয়লাভ করবে এটা আদতে হবে না। এমনকি ত্রিপুরার দুটি আসনেও গো হারা হারবে বিজেপি, এমনটাই দাবী করলেন এদিন গণ মঞ্চের নেতৃত্বরা।
অন্যদিকে রাজ্যের শাসক শিবির কে কটাক্ষ করেও বললেন যারা মাত্র ৩৬ শতাংশ ভোট নিয়ে জয় লাভ করেছেন তাদের এতো উল্লাস কিসের ? আগামী দিনে তাদের কে বয়কট করবে রাজ্যের মানুষ।