BJP party office Belonia
রোমহর্ষক হত্যা কাণ্ডের পরিনাম ভুগছে বিলোনিয়া চোত্তাখলার বিজেপি সমর্থকেরা। বাদল শীলের মৃত্যুর রাতেই আগুনে ঝলসে গেল চোত্তাখলা স্থিত বিজেপির পার্টি অফিস। সিপিআইএম সমর্থকেরাই ঘটিয়েছে এই কাণ্ড, অভিযোগ গেঁড়ুয়া শিবিরের।
উল্লেখ্য, গত পরশু রাজ নগর ব্লকে দক্ষিন ত্রিপুরা জেলা পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড থেকে বাম মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে শাসক দলীয় কিছু সমাজবিরোধী দের দ্বারা আক্রমণের শিকার হতে হয় বাম দলীয় প্রাক্তন বিধায়ক সুধন দাস সহ প্রার্থী বাদল শীল এবং অন্যান্য কর্মীদের। এর পর নমিনেশান জমা না দিয়েই বাড়ি ফিরে যান প্রার্থী। সন্ধ্যে বেলা নিজের ব্যাক্তিগত কাজে চোত্তাখলা বাজারে গেলে সেখানে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে কিছু দুষ্কৃতি উত পেতে বসে থাকে । বাগে পেয়ে তারা বাদল শীল কে নৃশংস ভাবে আক্রমণ করে। দা দিয়ে কোপ বসায় বাদল শীলের মাথায় ও ঘাড়ে। আর তাতেই গুরুতর জখমী অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। উনার অর্ধমৃত দেহ দীর্ঘক্ষণ পরে থাকে বাজারের নির্জন রাস্তায়। কোনোক্রমে খবর পেয়ে ছুটে আসে উনার মেয়ে এবং পরিবার। নিয়ে যাওয়া হয় বিলোনিয়া হাসপাতালে এবং সেখান থেকে রেফার করা হয় জিবি তে। পরদিন অর্থাৎ গতকাল শনিবার দুপুর ২.৪৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বাদল শীল।
আর এই খবর ছড়িয়ে পরতেই রাজ্য ব্যাপি ক্ষোভ ছড়ায় বামপন্থিদের মধ্যে। অনুমেয় তার ফলস্বরূপ এদিন রাতে চোত্তাখলা স্থিত বিজেপির পার্টি অফিসে রাতে অগ্নি সংযোগ ঘটানো হয়েছে। অভিযোগ , লুটপাট ও করা হয়েছে অফিসের মুল্যবান জিনিস পত্র।
রাজনৈতিক সংঘর্ষের এই উত্তপ্ত ছড়িয়েছে গোটা রাজনগরে। এদিকে আজ গোটা রাজ্য ব্যাপি বামেদের পক্ষ থেকে ডাকা বনধ কে একাংশ সমর্থন করলেও শাসক বিজেপির পক্ষ থেকে এই বনধ এর বিরোধিতা করে একটি নোটিশ ও জারি করা হয়েছে গতকাল রাতেই। তবে বাদল শীল হত্যার ঘটনায় যারা গভীর ভাবে ব্যাথিত হয়েছেন তারা সমস্ত নির্দেশিকা কে উপেক্ষা করেই আজ বামেদের বনধ কে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে চোত্তাখলায় বিজেপির পার্টি অফিসে অগ্নি সংযোগের ঘটনাকে নেহাত আত্ম রক্ষার জন্যে পরিকল্পিতভাবে প্রস্তুত একটি নাটক বলেও আখ্যায়িত করছেন অনেকে। পার্টি অফিসে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে বিরোধী দের ফাঁসিয়ে বাদল শীল এর হত্যার মামলা থেকে আত্মরক্ষা করতেই এই প্রচেষ্টা , এমনটা ও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।