BJP candidate indulge in smuggling : নেশা মুক্তির আড়ালে নেশার দেদার বানিজ্যে পটু শাসক শিবিরের নেতা, কোটি টাকার মাদক পাওয়া গেল ঘর থেকে, দাবী উঠলো কঠিন শাস্তির

Khabare Pratibad
3 Min Read

BJP candidate indulge in smuggling

বিজেপি নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার কোটি টাকার মাদক। কোনোমতে প্রাণ বাঁচিয়ে পালালো অভিযুক্ত। অতঃপর গুন্ডা বাহিনী দিয়ে তুমুল তাণ্ডব চালালো প্রশাসনের উপর।
২০১৮ এর পর থেকে নেশা কারবারে নয়া রূপ দেখেছে ত্রিপুরার মানুষ। যে সমস্ত মাদকের নাম অব্দি শোনেনি কখনো ত্রিপুরা বাসী , সেই তাদের মধ্যেই কেউ কেউ আজ নেশা বাণিজ্যের রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে। তবে এটা কোনো আম আদমির কারসাজী নয়। এর পেছনে রয়েছে শাসক দলেরই কতিপয় প্রভাবশালী মুখ। বিশেষ করে এই নেশা বাণিজ্যের তালিকা ভুক্ত হয়ে পরেছে ধনপুর বিধান সভা কেন্দ্র ।যেই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বরাবর জয়ী হয়ে রাজ্যে ২০ বছর মুখ্যমন্ত্রীত্ব সামলেছেন মানিক সরকার, যেখানে নেশা বানিজ্য তো দূর , দুর্নীতির ও কোনো ছাপ পরেছে বলে জোর গলায় কেউ দাবী করতে পারেনি সেই কেন্দ্রে ২০১৮ এর পর থেকে পুরোপুরি ভাবে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যার পেছনে দাদা , দিদি ও তাদের সাঙ্গ পাঙ্গ সকলেরই মিলিত কারসাজী রয়েছে।
এবার সেই ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের যাত্রাপুর থানাধিন বর্ণ নারায়ন পুর থেকে বিজেপি নেতা বাচ্চু মিয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি টাকার গাঁজা ও ফেন্সিডিল। এই বাচ্চু মিয়াই নাকি আবার আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী। সূত্রের খবর, বাচ্চু মিয়া ধনপুরের বিশিষ্ট তিন মাদক ব্যবসায়ী মাস্টার মাইন্ড গ্রুপ দের মধ্যে এক গ্রুপের সদস্য। তিন গ্রুপের মধ্যে আভ্যন্তরীণ কলহ বহু পুরনো। তার মধ্যেই দাদার গ্রুপের সদস্য বাচ্চু মিয়ার বাড়িতে যে কোটি টাকার মাদক রয়েছে এবং তা বাংলাদেশ পাচার হতে চলেছে এই খবর পুলিশের কাছে পৌঁছে দেয় অন্য গ্রুপের কিছু লোক। যার প্রভাব সরাসরি দাদার উপরেই পড়বে বলে আগে থেকেই রণক্ষেত্র সাজিয়ে নিয়েছিল প্রতিযোগীরা। এদিকে থানা ও বিএসএফ কে মোটা অঙ্ক দিয়ে ম্যানেজ করে চলেছেন দাদা। তবুও এতো বড় র্যা কেট খোলসা করতে বাচ্চু মিয়ার বাড়ি গিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় হানা দিয়ে বিপুল সংখ্যক মাদক উদ্ধার করেন যাত্রা পুর থানার পুলিশ ও বিএসএফ কর্মীরা। এদিকে পুলিশ আসার আভাস পেয়েই পগারপার বাচ্চু।
মাদক নিয়ে ক্যাম্পে ফেরার পথে তার গুন্ডা বাহিনী ব্যাপক আক্রমণ চালায় পুলিশ ও বিএসএফ এর গাড়ির উপর। ইট পাটকেল ছুরা হয়, আহত করা হয় এক বিএসএফ গাড়ি চালক কে। অতঃপর বন্দুক হাতে নিয়ে গুলি চালানোর ভঙ্গি ধরলে গুন্ডা বাহিনী পিঠ বাঁচিয়ে পালায়। অবশেষে ক্যাম্পে নিয়ে আশা হয় মাদক গুলো। এদিকে বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় এনডিপিএস এক্টে হয়েছে মামলা।
সরসে ক্ষেতেই ভূত – বিজেপির অবস্থা এমনটাই বর্তমানে। নেশা মুক্ত করতে গিয়ে কখন যে গোটা রাজ্য কে নেশায় আঁশটে পিষ্টে জুড়ে দিয়েছে এই দলের ই কিছু নেতা , সেটা হয়তো মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এখনো স্পষ্ট নয়। এর শেষ কবে , কোথায় , সেই অপেক্ষায় রাজ্যের আম জনতা।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *