বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করার ফলেই এবার অন্ধকারে ডুবে যেতে চলেছে বাংলাদেশ

বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে তাল বাহানা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক কমিয়ে দেওয়া হল বিদ্যুৎ এর পরিমাণ। হাসিনা সরকার পতন এর পর এক নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ কে স্বাগত জানিয়ে অন্তর্বর্তী কালীন সরকার প্রধানের দায়িত্বে বসানো হয় আইএসআই মদত পুষ্ট ডঃ ইউনুস কে। উনার হাত ধরে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হবে এই আশাই মূলত জাহির করে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক দল সহ বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনে লিপ্ত সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রেরা ও। কিন্তু সেই সব কিছুই ধরাশায়ী। ভারত বিরোধী শ্লোগানে মুখরিত বাংলার একাংশ এবার হারে হারে টের পাচ্ছে, ভারত বিনে তাদের পরিণতি কতটা অসহায়।
ভারতের আদানি পাওয়ার বাংলাদেশ কে প্রায় ১৬০০ থেকে ১৭০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ প্রদান করতো। যা মূলত ঝাড়খণ্ডের গড্ডা পাওয়ার থেকে পাঠানো হতো। সেই বিদ্যুৎ এর অপরিশোধিত বিল এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পেতে প্রায় ৮৪৬ মিলিয়নে গিয়ে দাড়ায়। হাসিনা সরকার থাকাকালীনই এই বিল তৈরি হয়। আর সরকার পতন হতেই নয়া সরকারের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় সেই বিদ্যুৎ বিল।
সেপ্টেম্বর মাসের দিকেই প্রথমে সময় সীমা বেঁধে দিয়ে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছিল ইউনুস সরকার কে। কিন্তু তাতে কোনো কর্ণপাত করেনি বাংলাদেশের সরকার। অতঃপর বিদ্যুৎ পরিষেবার পরিমাণ কমিয়ে আনা হয় ৭০০ থেকে ৮০০ মেগাওয়াটে। এর পর আবারো চলতি মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত সময় সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল আদানি পাওয়ার এর পক্ষ থেকে। সেখানে ও ইউনুস এর পক্ষ থেকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের কোনো সবুজ সংকেত পাওয়া যায়নি। তাই এবার বিদ্যুৎ এর পরিমাণ আরও কমিয়ে ৫২০ মেগাওয়াটে নিয়ে আশা হয়েছে। যাতে করে বিশাল রকমের বিদ্যুৎ সঙ্কটে পড়তে চলেছে বাংলাদেশ।
এক কথায় বলা চলে , অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে চলেছে গোটা বাংলাদেশ। বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে তাদের রোজগারের পথ।
এই অবস্থায় বাংলাদেশ এর হাল ফেরাতে হাসিনা সরকারের পুনরাগমনই একমাত্র পথ বলেই দাবী অভিজ্ঞ মহলের।

Leave A Reply