Badal Shil Death

Khabare Pratibad
3 Min Read

Badal Shil Death

ভোটের আগেই পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বিরোধী দলীয় প্রার্থী কে, নৃশংস ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বাম শিবিরে, জবাব নেই বিজেপির

বিজেপির সুশাসনের বলি এবার নির্বাচন প্রার্থী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগেই বাম প্রার্থী কে প্রাণে মেড়ে ফেললো বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। খুনের মধ্য দিয়েই শাসক বিজেপি শুরু করলো তাদের পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি।

একদিকে মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা ঢাক ঢোল পিটিয়ে সুশাসনের প্রচার করে বেরাচ্ছেন। আর অন্যদিকে উনার দলের একনিষ্ঠ কর্মীরাই সুশাসন কে পদতলে পিষ্ট করে রাজ্য ব্যাপি চালাচ্ছে কুসাশন। এবার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে খুন কাণ্ডের মধ্যে দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক প্রস্তুতি শুরু করলো রাজ্য বিজেপি।
নমিনেশান জমা দেওয়ার প্রথম দিন থেকেই রাজ্যব্যাপি বিরোধী বাম ও কংগ্রেস প্রার্থী এবং কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা হুজ্জুতি চালানোর খবর সামনে এসেছে। গতকাল কেও বিলোনিয়া রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাম মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক সুধন দাস ও অন্যান্য দলীয় কর্মীরা রাজনগর ব্লকে মনোনয়ন জমা করতে গিয়ে ব্যাপক আক্রমণের শিকার হয়েছেন প্রায় ১১ জন। অবশেষে সেখানেই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তারা। উপস্থিত দের মধ্যে ছিলেন দক্ষিন ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড এর প্রার্থী বাদল শীল। গতকাল বিক্ষোভ এর পর উনি চোত্তাখলা স্থিত নিজ বাড়িতে চলে যান। সন্ধ্যার পর উনি বাজারে গেলে সেখানেই পরিকল্পিত ভাবে উনাকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে দুষ্কৃতী রা। উনার মেয়ে উনাকে উদ্ধার করে স্থানীয় জেলা হাসপাতালে এবং পরে জিবিপি হাস্পালাতালে নিয়ে আসলে আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় উনি প্রয়াত হন।
মর্মান্তিক এই ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত জানতে আমরা প্রাক্তন বিধায়ক তথা বাম নেতৃত্ব সুধন দাসের সাথে কথা বললাম। এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে আগামী কাল রাজ্য ব্যাপি এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বনধ ডাকা হবে বলে জানান সুধন দাস।
উল্লেখ্য উনি ১০৩২৩ এর একজন শিক্ষক ছিলেন। দীর্ঘ পুরনো বাম নেতৃত্ব ছিলেন বাদল শীল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেদের প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানোটাই যেন কাল হয়ে দাঁড়ালো বাদল বাবুর জীবনে। এদিকে গোটা রাজ্য ব্যাপি সন্ত্রাস চালিয়ে বিরোধীদের কে দমন করে কিভাবে পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদ গুলিকে দখলে আনা যায় সেই প্রচেষ্টায় মেতে আছে বিজেপি , এমনটাই অভিযোগ উঠছে। এধরণের ঘটনার পর শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ জন কি আদৌ বিজেপি দলের হাতে সোপে দেবে নিজ এলাকার দায়ভার ? সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তা যে নিতান্তই অসম্ভব সে কথা এতো দিনে রাজ্য বিজেপি বুঝে গেছে। তাই হয়তো এধরণের অপ প্রচেষ্টা চালিয়েই পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী হতে চায় রাজ্য বিজেপি। তবে এধরণের সন্ত্রাস কে কি আদৌ প্রশ্রয় দেবে আম জনতা? সেটাই দেখার অপেক্ষা।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *