Ashish kumar saha – ঝড় তুফানে বিপর্যস্ত শরণার্থীদের পাশে আশিস কুমার সাহা
দুদিন আগে আচমকা ঝর বৃষ্টি তে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষ এর স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়েছে। বহু মানুষ হারিয়েছে মাথার ছাঁদ। একই পরিস্থিতির সম্মুখীন চড়িলাম বিধানসভা কেন্দ্রের রাম নগর এলাকা। রামনগর এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বহু পরিবার । যারা গত তিনদিন যাবৎ শরণার্থী শিবিরে কোনো মতে দিন যাপন করছেন। জানা যায় তিন দিন অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত তাদের কাছে সরকারি কোন সহযোগিতা পৌছায়নি। অসহায় অবস্থায় তাদের দিন যাপন করতে হচ্ছে শরণার্থীদের মতো। তাদের এই অবস্থার কথা জানতে পেরে আজ চরিলাম ছুটে যান ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা ১ নং পশ্চিম ত্রিপুরার লোকসভা আসনের ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী আশিষ কুমার সাহা। সঙ্গে ছিলেন যুব কংগ্রেস সভাপতি নীল কমল সাহা সহ অন্যান্য কংগ্রেস কর্মীরা। বিপর্যস্ত দের সাথে দেখা করে আশিস কুমার সাহা বলেন গত তিন দিন আগে রাজ্য জুড়ে প্রবল ঝর সহ বৃষ্টিপাতের জেরে বহু মানুষ ঘর ছাড়া হয়ে গেছেন। চড়িলাম রাম নগরের এই কয়েকটি পরিবারের ও এমন করুণ পরিস্থিতির খবর পেয়ে এদিন ছুটে এসেছেন তিনি। তাদের খোঁজ খবর নিয়ে এই সমস্যা সমাধান করতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে আলোচনা করা হবে এবং যতটা দ্রুত সম্ভব তাদের সহযোগিতা করার এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হবে।
উল্লেখ্য , তিন দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও রাজ্যের ক্ষমতাসীন শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে বিপর্যস্ত এলাকা গুলিতে কোনো জনপ্রতিনিধিকে খোঁজ খবর টুকু অব্দি নিতে শোনা যায়নি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে শাসক শিবির বর্তমানে প্রচার ও নির্বাচন কার্যালয় উদ্বোধন এর অনুষ্ঠান সূচি নিয়েই ব্যস্ত। এদিকে সাধারণ জনগণ যাদের কাছে ভোট এলেই হাত পেতে বসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দোল তাদের এহেন পরিস্থিতিতে শাসক শিবির এর এমন নিস্তব্দ ভূমিকা যথেষ্ট সমালোচনা যোগ্য বিষয়। শুধুমাত্র চরিলাম এই নয়, উদয়পুরে ও একাধিক ক্ষয় ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোথাও কোনো সহযোগীতার জন্যে প্রশাসন কিংবা সরকার মহলের উদ্যোগ চোখে পড়ে নি।
তবে বলা বাহুল্য, লোক দেখানো প্রচার প্রসার এর চাইতে সাধারণ মানুষের দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে এক প্রকার বহু মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন কংগ্রেস এর প্রার্থী আশিস কুমার সাহা। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিপর্যস্ত দের আদৌ কোনো সমাধান খুঁজে দিতে পারবেন কিনা আশিস বাবু সেদিকেই তাকিয়ে চড়িলাম বাসী।