AIRWF submits deputation

পরিবহন দপ্তরের নিয়মাবলী তে বিশেষ পরিবর্তন আনা কি সম্ভব হবে অল ইন্ডিয়া রোড ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এর পক্ষে ? সেই প্রশ্ন উঠার কারণ ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একাধিক দাবী দাওয়া নিয়ে অল ইন্ডিয়া রোড ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এর ত্রিপুরা শাখার পক্ষ থেকে একটি ডেপুটেশান দেওয়া হয়েছে পরিবহন কমিশনারের নিকট।
বৃহস্পতিবার যান চালকদের বিভিন্ন সমস্যা নিবারন করতে প্রায় ১১টি দাবী দাওয়া নিয়ে এই ডেপুটেশানে মিলিত হন শ্রমিক সংগঠন এবং যান চালকেরা। এর আগে একটি বিশাল মিছিল শহরের রাজপথ কাপায়। যাতে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিআইটিইউ নেতা মানিক দে সহ বহু ।
পুরনো মোটরস্ট্যান্ড থেকে মিছিলটি বেড় হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে তারা এদিন ডেপুটেশন দেন কমিশনারের নিকট। যে সমস্ত দাবী দাওয়া এদিনের ডেপুটেশানের মধ্যে দিয়ে কমিশনারের নিকট জানানো হয়েছে সেই দাবিগুলি হলঃ
১। পরিবহনের ক্ষেত্রে আরোপ করা সমস্ত প্রকার বর্ধিত ট্যাক্স ও ফি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
২। পরিবহন বীমার মাশুল কমাতে পরিবহন দপ্তরকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৩। রাস্তায় চলে না এমন যানবাহনগুলির উপর জমাকৃত ট্যাক্স এককালীন মুকুবের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪। তথাকথিত মিটার লাগানোর নামে অটো শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
৫। TRTC কে পুনরুজ্জীবিত করতে নূতন গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
৬। কর্মচারীদের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।
৭। ই-রিক্সা শ্রমিকদের জন্য চলাচলে সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলী ঠিক না করে হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
৮। সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের জন্য সুনির্দিষ্ট সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
৯। সরকারকে প্রিমিয়াম দিয়ে স্বাস্থ্য বীমা-পেনশন-নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা- সচেতনতা শিবির ইত্যাদির দায়িত্ব নিতে হবে।
১০। সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের স্বার্থে সমস্ত ধরনের জ্বালানী- যন্ত্রাংশের উদ্বেগজনক মূল্য বৃদ্ধি আটকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সমস্ত ধরনের তিন চাকার যানের রেজেস্ট্রি বন্ধ করার বেকার বিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
১১। পরিবহন দপ্তরে শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ন্যায় সংহিতা আইন কার্যকরি করার নামে পরিবহন শ্রমিকদের উপর জেল-জরিমানা এবং হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী তথা সুশান্ত চৌধুরীর হাতে এই দপ্তরের দায়িত্ব ন্যাস্ত হবার পর থেকে শহরাঞ্চলে যানজট সংক্রান্ত সমস্যা লাঘব করতে একাধিক পদক্ষেপ গৃহীত হলেও যান চালকদের অভিযোগ তাদের সমস্যা নিরসন হচ্ছে না। শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা নেই বলেও অভিযোগ। এদিকে অস্বাভাবিক হারে শহরাঞ্চলে ছোট যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাবার ফলে ব্যাপক যানজটের এবং দুর্ঘটনার সূত্রপাত ঘটছে। সেই বিবেচনা করে পরিবহন দপ্তর ইদানিং সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে পুরো এলাকায় নতুন কোনো ৩ চাকার গাড়ি কে লাইসেন্স দেওয়া হবে না। এতেও এবার আপত্তি জানানো হয়েছে।
সার্বিক দিক থেকে বিবেচনা করলে উভয় পক্ষই নিজ নিজ আঙ্গিকে মতামত পেশ করছেন। তবে সার্বিক দিক থেকে কোন সিদ্ধান্তে মোহর বসলে ভালো হতে পারে তা এখনো পর্যালোচনার বিষয়।

Leave A Reply