টেট পরীক্ষার জন্যে সরকারের গ্রিন সিগন্যাল নাই কেন ?
সিগন্যালে দাঁড়িয়ে যান চালকেরা যেভাবে গ্রিন সিগন্যাল এর অপেক্ষা করেন, রাজ্যের ৮ জেলার জেলা শাসক ও একই ভাবে টেট পরীক্ষা পরিচালনার জন্যে সরকারের গ্রিন সিগন্যাল এর অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ।
২০২২ এ শেষ বার টেট পরীক্ষা হয়। এর পর থেকে ২ বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও টেট এর দেখা নেই। স্কুলে শিক্ষক স্বল্পতা প্রচুর। শিক্ষার্থীদের পঠন পাঠন চরম ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ। কিন্তু এই ক্ষতি পূরণের জন্যে কোনো প্রকারের পদক্ষেপ নেই সরকারের। রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য সকলেই একাধিক বার সুনিশ্চিত করেছেন যে রাজ্যে বেকারত্বের কোনো সমস্যা নেই। এমনকি বিরোধী শিবিরের দিকে বারংবার আঙ্গুল তুলে তাদের দৃঢ় দাবী রাজ্যে সুশাসন চলছে ।
এদিকে শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা বলছে অন্য কথা। এই নিয়ে বিগত দু বছরে বহুবার টেট পরীক্ষার দাবীতে সরব হতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষা ভবনের সামনে ধর্না মঞ্চস্ত ও করা হয়েছে। তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অবশেষে শোনা যাচ্ছে সরকারের গ্রিন সিগন্যাল পাচ্ছেনা টিআরবিটি। ৮ টি জেলার জেলা প্রশাসন প্রস্তুত নয় , তাই নাকি সরকার গ্রিন সিগন্যাল দিচ্ছে না। টিআরবিটির দাবী তারা যে কোনো সময় পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত কিন্তু উপর মহলের নির্দেশ না আসা অব্দি কিছুই হবে না।
বুধবার আবারো টেট পরীক্ষার দাবীতে সরব হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখায় আগরতলা সিটি সেন্টারের সামনে । তাদের দাবি কবে নাগাদ টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে, এখনো কোন ধরণের নোটিফিকেশান দেওয়া হয়নি তাই তারা এই বিষয়ে টিআরবিটির চেয়ারম্যান ডঃ প্রত্যুষ রঞ্জন দেব এর সাথে সাক্ষাৎ করে আলোচনা করেন। সেখানে গিয়ে তাদের কে শোনানো হয় সেই “গ্রিন সিগন্যাল” এর গল্প।
মূল প্রশ্ন, শুন্যপদ রয়েছে, শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে । এর পরেও কেন নিয়োগ নেই ? বেকারত্ব বাড়ছে, কমছে স্কুলের সংখ্যা। শিক্ষক নিয়োগের বদলে রাজ্যের প্রায় ৯০০ স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্তে এগিয়ে চলেছে রাজ্য সরকার। এই ধরণের জনবিরোধী ও উন্নয়ন বিরোধী কার্যকলাপের পেছনে কি উদ্দেশ্য ?
প্রাক্তন সরকার যেখানে বিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি, শিক্ষার মান উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সর্ব শিক্ষা অভিযান কে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায় সেখানে বর্তমান সরকার ১০০ টি মডেল স্কুল আর ৯০০ স্কুল বাতিলের মতো সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে লক্ষ লক্ষ নতুন প্রজন্মকে বিপদের মুখে কেন ঠেলে দেয় ? প্রশ্ন তুলছেন সমাজের শিক্ষিত এবং বিবেক বাণ মানুষ জন।