Audience left Amit Shah’s program

অমিত শাহের অনুষ্ঠান ছেড়ে বেড়িয়ে গেলেন শ্রোতারা, পানীয় জল টুকু পর্যন্ত জুটলো না কপালে

অমিত শাহের প্রোগ্রামে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সাধারণ জনগণ। চরম বিশৃঙ্খলা , পুলিশ দিয়েও আটকে রাখতে পারছেন না আগত শ্রোতা দের। অবশেষে গেইট ঠেলে বেড়িয়ে গেলেন বহু মানুষ ততসঙ্গে ধিক্কার জানালেন রাজ্য সরকারের এই অব্যবস্থাপনার।

রবিবার আগরতলা স্থিত রবীন্দ্র ভবনে ছিল রাজ্য সরকারের সমবায় দফতরের একটি অনুষ্ঠান। আর তাতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এই অনুষ্ঠানে সরকারি উদ্যোগেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজনকে আনা হয়।
সকাল প্রায় ৬টা থেকেই নাকি ধীরে ধীরে আগরতলায় এসে জড়ো হন বিভিন্ন জেলা ও মহকুমার বিজেপি অনুরাগীরা। কিন্তু এদিন অনুষ্ঠান শুরু হয় প্রায় ২টো নাগাদ। সকাল থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা অতিথিদের জন্যে নাকি নুন্যতম আহার এমনকি পানীয় জল টুকুর ব্যবস্থা অব্দি করেনি সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন দপ্তর। অবশেষে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে অনুষ্ঠান মাঝ পথে ফেলে রেখেই গেইট ঠেলে বাইরে বেড়িয়ে যেতে দেখা গেল আগত শ্রোতাদের।
রাজ্য সরকার এর তাবড় তাবড় নেতারা মঞ্চে ময়দানে সাংবাদিক বৈঠক করে জোর গলায় দাবী করেন যে এই সরকার জনগণের সরকার। এই সরকার রাজ্যে আমূল পরিবর্তন ঘটাবার পাশাপাশি প্রতিটা মানুষের মুখে অন্নের যোগান দিয়েছে। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় অভুক্ত কেউ নেই। এই সরকার মানুষের জন্যে ভাবে এবং মানুষের স্বারথেই কাজ করে।
তাছাড়া সদ্য সমাপ্ত প্রোমো ফেস্ট এর মধ্যে দিয়ে ও রাজ্য সরকার প্রমানিত করেছে যে অর্থের কোনো কমতি বা অভাব নেই এই সরকারের। আর তাই মানুষ কে মনোরঞ্জন দিতেও খামতি রাখে না এই সরকার। যে সরকার কোটি টাকা খরচ করে ট্যুরিজম প্রমোট করতে পারে, বহিঃরাজ্য থেকে শিল্পী এনে মনোরঞ্জন দিতে পারে, কোটি টাকা খরচ করতে পারে কেবলমাত্র শহরের সৌন্দর্যায়নের জন্যে ,সেই সরকারের এক সরকারি অনুষ্ঠানে কি আগত দের জন্যে নুন্যতম পানীয় জলের ব্যবস্থা টুকু করতে পারা গেল না ?
সব চাইতে বড় বিষয়, এটি কোনো যেমন তেমন অনুষ্ঠান ছিল না। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খোদ দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। যিনি একদিকে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ত্রিপুরা এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন, অন্যদিকে খুদায় তৃষ্ণায় তিতি বিরক্ত হয়ে উনার অনুষ্ঠান ছেরেই পালিয়ে যাচ্ছিলেন আম জনতা।
আসল কথা হচ্ছে, মানুষ এখন আর মন থেকে বিজেপি কে চাইছে না। তাই রাজ্যে অমিত শাহের আগমন কে ঘিরে যেমন খুব একটা হইচই নেই তেমনি অমিত শাহের অনুষ্ঠানে মঞ্চে শূন্যতা বিরাজ করার ভয় ও রয়েছে দলের অন্দরে। তাই কোনো মতে টেনে হিঁচড়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ জড়ো করার একটা প্রয়াস করা হয়েছিল এদিন। যার উদ্দেশ্য কেবলই প্রচার । কিন্তু এই মানুষ গুলোর জন্যে যে সাধারণ আয়োজন টুকু করার কথা ছিল সেটাও কি করতে পারেনি দপ্তর ?
এধরণের ঘটনা আবারো প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছে যে রাজ্যের এই তথাকথিত জনদরদি সরকার কেবলমাত্র বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। আসল মুখোশ তো খসে পড়েছে এদিনের এই ঘটনা তেই। যার পর গোটা রাজ্য জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। শুধু বিরোধী শিবির নয়, খোদ দলের অনুগামী রাও এধরণের কাণ্ড কারখানার তীব্র সমালোচনা করছেন।

Leave A Reply