Cough syrup confiscated

নেশার আতুরঘরে পরিণত হয়েছে ত্রিপুরা সহ গোটা দেশ। এপ্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে কিছু টাকার বদলে কার্টুনে কার্টুনে নেশা সামগ্রী পাচার করে চলেছে কিছু নিত্য সামগ্রী পরিবাহি লরি চালক। প্রায়শই রাজ্যে থেকে বহিরাজ্যে কিংবা বহিরাগত লরি গুলোর মারফতে ত্রিপুরায় নেশা সামগ্রী আদান প্রদান চলছে।
অগণিত নাকা চেকিং থাকা সত্বেও অনায়াসে পাড় পেয়ে যাচ্ছে এই লরি গুলো। তবে কিছু কিছু জায়গায় নাকা পয়েন্টে কড়া তল্লাশির জেরে আটকা পড়ছে কিছু পরিমাণ নেশা সামগ্রী। আর এধরণের সফলতায় শীর্ষে রয়েছে চুরাইবাড়ি নাকা চেকিং পয়েন্টের নাম।
প্রায়শই চুরাইবাড়ি নাকা পয়েন্ট পাড় করতে গিয়ে ধরা পরে গাঁজা কিংবা নিষিদ্ধ কফ সিরাপ অথবা নেশা সামগ্রী বোঝাই গাড়ি। এবার আবারো এমনই এক নিষিদ্ধ কফ সিরাপ বোঝাই লরি কে আটক করতে সফল হয়েছে চুরাইবাড়ি নাকা পয়েন্টের পুলিশ। উপরন্তু বলা যায় এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ক্রেডিট আসাম পুলিশের।
নেশা সামগ্রীর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে চলেছে অসম রাজ্যের পুলিশ। এরই পরিপেক্ষিতে ফের নেশা বিরোধী অভিযানে সাফল্য পেল করিমগঞ্জের বাজারিছড়া থানাধীন চোরাইবাড়ি ওয়াচ পোষ্টের পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে PB13BN5612 নম্বরের একটি ফোরচুন কোম্পানির খুচরো সামগ্রী বোঝাই বারো চাকার লরি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে ত্রিপুরার আগরতলা যাবার পথে চোরাইবাড়ি পুলিশ ওয়াচ পোষ্টে পৌছালে গাড়িটিতে যথারীতি দলবল নিয়ে তল্লাশি চালান গেট ইনচার্জ প্রণব মিলি। এতে বিভিন্ন সামগ্রীর আড়াল থেকে কুড়ি কার্টুনে দু হাজার বোতল ফেন্সিডিল নামক নেশা জাতিয় অবৈধ কফ সিরাফ বাজেয়াপ্ত হয়। যার কালোবাজারী মুল্য কুড়ি লক্ষাধিক টাকার মত হবে বলে জানা গেছে। তার সাথে লরি চালক ও সহচালককে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ধৃতদের শুক্রবার জেলা সিজেএম আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এধরণের নেশা বাণিজ্যের প্রসার শুধু যে ভারতের এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে হচ্ছে তেমন টা নয়। পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের সাথেও এধরণের নেশা বাণিজ্যের একটা বিশাল রেকেট জড়িয়ে আছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুধু নেশা নয়, মানব পাচার থেকে শুরু করে আরও নানা বিধ অবৈধ কাণ্ডের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি সংযুক্তির খবর রয়েছে। যাতে লাগাম টানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Leave A Reply