West Bengal CPIM News : ছাব্বিশের নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বামেরা। সমবায় নির্বাচনে ১১ টি আসন বামেদের দখলে। বিধানসভায় ও কি তবে ভোট বৈতরণী পাড় হতে পারবে এবার বঙ্গের সিপিআইএম ?
সদ্য প্রকাশিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সমবায় সমিতির নির্বাচনের ফলাফল । আর তাতেই বামেদের কে বাড়তি অক্সিজেন জোগালো পান্ডুয়ার শ্রীরামবাটি সমবায় সমিতির নির্বাচনের ফল। যেখানে ১১-১ আসনে জয়ী হয়েছে সিপিএম।
পশ্চিমবঙ্গে কার্যত শূন্যে দাঁড়িয়ে ছিল বামেরা। সেই শূন্য থেকে ১১ অব্দি পৌঁছানো সংখ্যাটা কিন্তু বিশাল। এই সাফল্য যে বামেদের অনেকটাই চাঙা করল, তা বলাই বাহুল্য। যে বামেদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে বলে দাবী করছিলো শাসক তৃনমূল , সেখানে বামেরা নিজেদের অস্তিত্ব ও অবস্থান স্পষ্ট করে দিচ্ছেন নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে।
বিগত ১০ বছর ধরে পান্ডুরার শ্রীরামবাটি ছিল তৃনমূল এর দখলে। এই দশ বছরে এক বার ও নির্বাচন হতে দেয়নি সেখানে শাসক তৃনমূল। এই ১০ বছর পর ভোট হওয়া মাত্রই জনতা তাদের ক্ষোভ উজাড় করে দিয়েছেন ভোট বাক্সে। এক ধাক্কায় ১১ আসনে জয়ী হয়ে গেল সিপিএম। আর তাতেই বড় ধাক্কা খেলো তৃনমূল।
বাম নেতা তথা পাণ্ডুয়ার প্রাক্তন বিধায়ক আমজাদ হোসেন এর বক্তব্য এই নির্বাচন আজ থেকে ৪ মাস আগেই হবার কথা ছিল। কিন্তু তৃনমূল আগে থেকেই বুঝেছিল ফলাফল তাদের পক্ষে হবে না। তাই ভোটে দেরি করানো হয়েছে। দশ বছরে তৃনমূল সমবায়ে যে চুরি ও লুট করেছে তার জবাব দিয়েছেন মানুষ। সমবায়কে দুর্নীতি মুক্ত করতে বাম প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে ক্ষেতমজুর থেকে শুরু করে কৃষক, বরগাদার, পাট্টাদাররা। মানুষ পরিবর্তন চাইছে।
এই জয় আগামীদিনের বড় লড়াইয়ের প্রস্তুতি বলেই মনে করছেন বাম নেতৃত্বরা। স্বভাবতই একে তৃনমূলের একটা বড় পরাজয় বলে মনে করছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনইতিক বিশ্লেষকেরা। ১০ বছর পর যদি পান্ডুয়ায় সমবায় ভোটে তৃনমূল কে হাড়িয়ে মানুষ বামেদের কে জয়ী করতে পারে, তবে বিধানসভা নির্বাচনে ও স্বচ্ছ ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে যে মানুষ তৃনমূল কে হারাতে তৎপরতা দেখাবে তা নিয়ে আর কোনো দ্বন্ধ থাকছে না। এমনটাই দাবী করছে সে রাজ্যের সচেতন মানুষ। বামেদের এই জয় আগামী তে তাদের ময়দান শক্ত করতে আরও অনুপ্রাণিত করছে বলেও মনে করা হচ্ছে।