Villagers suffering for settled home
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দেদার চলছে জমি মাফিয়া গিরি। কিন্তু এই অবৈধ কাজে যুক্ত থাকতে পারেন একজন জনপ্রতিনিধি ? এটা ভাবলে নেহাত লজ্জায় লাল হয়ে যাবেন খোদ ঐ এলাকার জনগণেরাই। ঠিক একই ভাবে লজ্জিত এখন বক্সনগর বাসী।
দীর্ঘ আমলের বাম ঘাটি বলে পরিচিত বক্সনগরের বাম বিধায়ক সামসুল হক এর আচমকা প্রয়াণের পর উপ নির্বাচনে উনারই ছেলে কে প্রার্থী করা হয় ঐ কেন্দ্র থেকে। কিন্তু উপ নির্বাচনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন রেকর্ড সংখ্যক ভোটে জয়ী হন। এই নিয়েও অবশ্য সন্দেহের অবকাশ নেই। সে যাই হোক। এবার এই বক্সনগরের বিধায়ক এবং সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েতের ভাইস –চেয়ারপার্সন এর দিকে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েতের ১২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার হাসপাতল লাগুয়া ঢাকারি পুকুর সংলগ্ন টিলার বেশ কয়েকটি পরিবার।
কিছুদিন আগে , ঐ এলাকায় বসবাসকারী পরিবার গুলিকে দুই নেতৃত্ব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঐ এলাকার টিলা ভূমি কেটে সমতল করে তাদের বসত ভিটে তুলে দেওয়া হবে। কারন তাদের একমাত্র সমস্যা ছিল চলাচলের রাস্তা। বিগত নগর পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাহাজান মিয়া তথা বাদশা যখন সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েতের এই ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হন তখনই তিনি এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
সেই অনুযায়ী সরাসরি রাস্তা তৈরি না করে টিলা ভূমি সমতল করার জটিল পন্থি অবলম্বন করে গ্রামবাসীদের কে নিজেদের বসত ভিটে ভাঙতে বাধ্য করা হয়। এরপর কিছুটা টিলা ভূমি সমতল করে বাকিটা আগের অবস্থাতেই ফেলে রাখা হয়। এ নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের আর কোনো হেলদোল দেখা যায়নি বলে অভিযোগ ঐ গ্রামবাসীদের। বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের গেলো উপ-নির্বাচনের আগেও একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বক্সনগরের বর্তমান বিধায়ক তফাজ্জল হোসেন। তিনি তো আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেছিলেন নিজের ঘাটের টাকা দিয়ে হলেও এই টিলা কেটে দেবেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দেওয়া আর তা পূরণ হবার মধ্যে যে বিস্তর ফারাক। দিন যায় , মাস যায় ,বছর যায়। এই টিলা ভূমি আর কাটানো হয়না। কয়েক মাস আগে টিলায় বসবাসকারী পরিবার গুলিকে বলা হয় এবার কাটা হবে তাদের দুর্গতির টিলা। সেই মতো টিলায় বসবাসকারী বেশিরভাগ পরিবার গুলি তাদের নিজেদের ঘরদোর ভেঙে ফেলেন নিজেরাই। টিলার একাংশ কাটে ভাইস – চেয়ারপার্সন আর অন্যদিকে তার ভূ-মাফিয়া সাগরেদরা বেআইনি ভাবে অন্য জলাভূমি ও লুঙ্গা ভরাট করতে নিয়ে যায় সেই মাটি। যাতে বিলীন হয়ে যায় টিলায় যাতায়াতের আগের ভঙ্গুর রাস্তাটিও। গত কিছুদিন আগে উল্লেখিত টিলার এক মহিলা বাসিন্দার মৃত্যু হয়। কিন্তু রাস্তার অভাবে মৃতদেহ পর্যন্ত বাড়িতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। যার ফলে ক্ষোভে ফুঁসছেন উল্লেখিত বসবাসকারী লোকজন।
গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট আদায় করে নিজের গদি পেয়ে গেলেই ভুলে যান প্রতিশ্রুতি ! এরা করবেন জনসেবা ?
এদের ভুয়া প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পরে নিজেদের ভিটে মাটি টুকু ও হাড়িয়ে অন্যের জায়গায় অস্থায়ী ঘর বানিয়ে বর্তমানে বসবাস করছেন তারা। রাস্তা , জল সমস্ত দুর্ভোগ কাঁধে বয়ে বেরাচ্ছেন। আর এদিকে দিনরাত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ কারী দের কে ধিক্কার জানাচ্ছেন।
কোন মুখে ফের ভোট চাইতে আসবেন এসমস্ত জনপ্রতিনিধিরা ? শাসক দলের উর্ধতন কতৃপক্ষ ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই প্রশ্ন রাখছেন ভোক্তভোগীরা।