Tripura News : কথায় আছে না, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। সম্প্রতি রাজ্যের এক মহিলা সাংবাদিক কে হেনস্থার দায়ে রানিরবাজার এর সঞ্জিত মজুমদারের ছেড়ে সৌরভ মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা হয় পশ্চিম মহিলা থানায়। কিন্তু ২ দিন অতিক্রম হতে চললেও সেই দুষ্টের বিরুদ্ধে কোন একশান নিতে দেখা গেল না প্রশাসন কে। অতঃপর এবার অন্য এক ঘটনার জেরে থানা বাবুদের খপ্পরে পড়তে চলেছে এই সৌরভ।
সৌরভ মজুমদার ধর্মনগরে থানার একেবারে নাকের ডগায় গড়ে উঠা একটি সেলন এর দায়িত্বে আছে। যার নাম ভেনাস বিউটি সেলুন। আশ্চর্যের বিষয় ধর্মনগর থানার বিপরীতে দীর্ঘদিন ধরে এই সেলুনে চলছে সন্দেহজনক ও অবৈধ কার্যকলাপ। সেলুনটির দেখভাল এর দায়িত্বে রয়েছে এই অভিযুক্ত সৌরভ মজুমদার । তার পিতার নাম সনজিৎ মজুমদার। বাড়ি আগরতলার রানিরবাজার গরু বাজারে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার ধর্মনগর থানার ইন্সপেক্টর হরেন্দ্র দেববর্মা ও মহিলা পুলিশের একটি দল যৌথভাবে অভিযান চালায় ওই বিউটি পার্লারে । অভিযানের খবর পেতেই সেন্টারের ম্যানেজার পলাশ নামক ব্যক্তি হঠাৎ দৌড়ে পালিয়ে যায়। যা পুরো ঘটনার সত্যতা নিয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে বার্তা দিয়ে যায় ।
এদিন তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ চারজন মহিলা কর্মীকে পায়, যারা জানায় তারা সেন্টারে “ম্যাসাজ সার্ভিস” দেয়। স্পা সেন্টারটিতে মোট চারটি আলাদা ঘর ছিল, যেখানে “ম্যাসাজের” কাজ চলত। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি—মেয়েদের উপস্থিতি খুব একটা দেখা না গেলেও, সর্বদা পুরুষদের আনাগোনা ছিল লক্ষণীয়। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এর আগেও ধর্মনগরের নয়াপাড়ায় অনুরূপ ঘটনায় কয়েকজন মহিলা আটক হয়েছিল, যার পেছনেও মূল ষড়যন্ত্রী ছিল ওই সৌরভ মজুমদার। ধর্মনগরের নাগরিক মহলে উত্তেজনা ও ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। তাঁরা প্রশাসনের কাছে কড়া আইনানুগ পদক্ষেপ ও শহরের যুব সমাজকে এ ধরনের পরিবেশ থেকে বাঁচানোর জন্য জোরালো দাবি তুলেছেন। এবার দেখার বিষয় অভিযুক্ত কুখ্যাত অবৈধ ব্যবসায়ী ঐ সৌরভ মজুমদার কত দিনে পুলিশের হেফাজতে আসে।