Tripura Gramin Bank Simna
সিমনা বিধানসভার এসরাই বাজারে ২০১৭ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের একটি শাখা খোলা হয়েছিল। সেই সময় এসরাই এবং বড়কাঁঠালবাসীরা গ্রামীণ ব্যাংকের শাখার জন্য দাবি করার পর হেজামারায় গ্রামীণ ব্যাংকের একটি শাখা খোলা হয় এসরাই বাজারে। তাদের দাবি ছিল বড়কাঁঠাল এবং এসরাই থেকে হেজামারা গিয়ে টাকা জমা দেওয়া বা তোলার জন্য জনজাতি পরিবার গুলোর মারাত্মক রকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়, পাশাপাশি সময় এবং অর্থেরও ক্ষতি হয় । ২০১৭ সালে এসরাই বাজারের দুইজন কর্মী নিয়োগ করে শাখা অফিসটি চালু করা হয়। বিগত সাত বছর যাবত এই শাখা অফিসটি উল্লেখিত এলাকাগুলির গ্রাহকদের স্বার্থে পরিষেবা দিয়ে আসছে। হঠাৎ এক দুই দিন যাবত এই এসরাই বাজারের শাখা অফিসে কেওয়াইসি করা বন্ধ হয়ে যায়, টাকা জমাও নেয় না, এবং কেউ টাকা তুলতেও পারছে না। এলাকাবাসীরা আরো দেখতে পায় দুজন কর্মীর জাগায় একজন কর্মী কাজ করছেন, অন্যজনকে নিয়ে নেয় দপ্তর। পাশাপাশি তারা এটাও শুনতে পান এই শাখা অফিসটি বন্ধ করে দেওয়া হবে এরকমই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই বুধবার ১৫ মে গোটা এলাকাবাসীরা মিলিত হয়ে শাখা অফিসে এসে তালা মেরে দেন। তাদের দাবি এখান থেকে এই শাখা অফিসটি বন্ধ করা চলবে না। তারা বিষয়টি হেজামারা গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার কে জানান। হেজামারা গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার তাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন বুধবারের জন্য আরেকজন কর্মীকে অফিসে আনা হচ্ছে এবং শাখা অফিসটিতে এদিন ১ লক্ষ টাকার লেনদেন করা হবে।
আগামী দিনে কি করা যায় বিষয়টি তিনি দেখবেন। জনজাতি গ্রাহকরা জানান হেজামারা গ্রামীণ ব্যাংকে গিয়ে সামাজিক ভাতা প্রকল্পের টাকা তুলতে তাদের ভীষণ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। কারণ বড়কাঁঠাল এবং এসরাই থেকে হেজামারা যেতে হলে গাড়ি রিজার্ভ করে যেতে হবে। মাথাপিছু ২০০ টাকা খরচ হবে। পাশাপাশি একদিনের সময় নিয়ে যেতে হবে, তার পর ও তারা ভাতা তুলতে পারবেন কিনা সেটার কোন গ্যারান্টি নেই। কারণ বিদ্যুতের গোলযোগ নেটের সমস্যা তো রয়েছেই । এ নিয়ে এদিনএসরাই বাজারের সেই গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা অফিসে জনজাতি পরিবারগুলোর উত্তেজনা পরিলক্ষিত হয়। শেষ পর্যন্ত হেজামারা গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার গ্রাহকদের জানান তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন এবং এলাকাবাসীর স্বার্থে কি করা যায় তিনি বিষয়টি দেখবেন। ম্যানেজারের কথায় আশ্বস্ত হয়ে আন্দোলনকারী গ্রাহকরা শেষ পর্যন্ত তালা খুলে দেন।