Tripura DYFI News : রাজ্য সরকার যতই ঢাক ঢোল পিটিয়ে, মঞ্চে ডেকে প্রচার করে হলুদ খাম বিলি করুক না কেন – বেকারত্ব নির্মূলীকরণে কিন্তু আজো বহু মাইল পথ চলা বাকি। বছরে ২ লক্ষাধিক কর্ম সংস্থানের দাবী জানানো বিজেপির ৭ বছরের শাসন কালে কত লক্ষ বেকার যুবক যুবতী বেকারত্ব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন , তার স্পষ্ট হিসেব কিন্তু আজো দেয়নি রাজ্য বিজেপি।
আর তাই বারংবার বেকারত্ব দূরীকরণের দাবী নিয়ে মাঠে ঘাটে ময়দানে আওয়াজ তুলে চলেছে বিরোধী দলীয় ছাত্র যুব সংগঠন গুলো। এবার ডিওয়াইএফআই এর পক্ষ থেকে বেকারদের কর্ম সংস্থানের বিষয় নিয়ে এক দিনের কর্মশালার আয়োজন করা হয় ছাত্র যুব ভবনে।
উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফআই এর সর্ব ভারতীয় সম্পাদক হীমাগ্নরাজ ভট্টাচার্য সহ রাজ্য স্তরীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত সদস্য সদস্যা গন। এদিন কর্মশালার মধ্য থেকে সম্পাদক হীমাগ্নরাজ ভট্টাচার্য বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। দেশ স্বাধীন হবার পর থেকে এই অব্দি সর্বোচ্চ বেকারত্বের হাড় নরেন্দ্র মোদীর আমলেই এমনটাও অভিযোগ করেছেন সর্ব ভারতীয় সম্পাদক।
বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেকারেরা সঙ্কটে পড়েছে। যেখানে যেখানে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি সেখানে সেখানে বেকারত্বের হাড় বাড়ছে। রাজ্য গুলোর বেকার ছেলে মেয়েদের নাজেহাল অবস্থা। রাজ্যে কর্ম সংস্থানের অভাব জনিত কারণে বহিঃরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা গ্রস্থ হয়ে কফিন বন্দী হয়ে ফিরে আসছে রাজ্যে । এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে বিজেপি শাসিত দেশ।
পূর্বতন সরকারের আমলে এতটা করুন অবস্থা ছিল না দেশের। কর্ম সংস্থান এর অভাব এর সাথে সাথেই শিক্ষাঙ্গনে , চাকরীর ক্ষেত্রে রয়েছে না দুর্নীতি। বহিঃরাজ্য থেকে এনে এই রাজ্যে চাকরি বিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ এই রাজ্যের ছেলে মেয়েরা শিক্ষিত হয়েও চাকরি পাচ্ছে না। যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাচ্ছে না বেকার যুবক যুবতীরা। কাজ না পেয়ে আত্ম হত্যা পর্যন্ত করছে বহু যুবারা।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেউ কেউ ডেলিভারির কাজ করছে। তাদের জীবনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কেউ নেই। এই অবস্থা যে আগামী দিনে আরও ভয়াবহ হতে চলেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই এই বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে ডিওয়াইএফআই , বললেন সর্ব ভারতীয় সম্পাদক।