Tripura BJP MLA Jadab Lal Nath exposed
ত্রিপুরার মানুষ বিগত ৬ বছরে রাজ্য রাজনীতি তে কতই না রঙ্গিন চলচ্চিত্র দেখেছে। তার কোনো হিসেব নেই। দীর্ঘ বাম আমলে এতোটা মনোরঞ্জন পায়নি রাজ্যের মানুষ যতটা বর্তমান সরকারের রাজ্য পরিচালনা কালে মানুষ দেখছে।
এরই মধ্যে ৫৫ বাগবাসা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়কের একের পর এক চমকে দেওয়ার মতো কাণ্ড প্রত্যক্ষ করতে পেরে রাজ্যের মানুষ আদৌ কি হাসবেন নাকি মুখ লুকিয়ে কাঁদবেন সেটাই এখন বুঝে উঠতে পারছেন না। যে জনপ্রতিনিধি কে ভোট দিয়ে জিতিয়ে বিধানসভায় পাঠালেন তিনিই বিধানসভার মান ইজ্জত সব ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে বেফিকরের মতো এখনও বিধায়ক হিসেবে বহাল। দলের নেই কোনো প্রতিক্রিয়া। সে জায়গায় বেচারা আম জনগণ ই বা কি করবেন। কিন্তু একের পর এক ভুল করে গেলে শেষ জবাব যে জনগণই দিয়ে যাবেন সেটা বোধয় কোথাও একটা ভুলে যাচ্ছেন রাজ্যের বর্তমান শাসক শিবির। এবার আসা যাক মূল ঘটনায়।
জনগণ ভোট দিয়ে বিধায়ক বানিয়ে যাদের পবিত্র বিধানসভায় পাঠান , ক্ষমতা পাওয়ার পর সেই জনগণ দেড় কেই বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে যা নয় তাই ব্যবহার করে বাড়ি থেকে তারিয়ে দেন সেই বিধায়ক। কথা হচ্ছে ত্রিপুরার ৫৫ বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের জয়ী বিজেপি বিধায়ক যাদব লাল নাথ কে নিয়ে। ২০২৩ এ বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করার পর মাস ৩ এক গড়াবার আগেই বিধানসভায় বসে নীল ছবি উপভোগ করার ঘৃণ্য অভিযোগ উঠেছিল এই বিধায়কের বিরুদ্ধেই। জাতীয় স্তরে পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল এই খবর। কিন্তু শাসক দল বিজেপি এই বিষয়ে একটি কথা ও বলেননি। এমনকি উনাকে বরখাস্তের দাবী তোলা হয়েছিল বিরোধী দেড় পক্ষ থেকে। তাতেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি দল। এবার আরও একবার যাদব বাবুর মুখোশ খসে পড়েছে সবার সামনে। বিধায়কের কাছে সাহাজ্যের আর্জি নিয়ে গেলে গ্রামের এক বৃদ্ধা মহিলার সাথে যা নয় তাই ব্যবহার করেছেন গুণধর বিধায়ক মহাশয়। এমনকি উনাকে অচ্ছুত বলেও তিরস্কার করেছেন উনি। এই বিষয়ে বিস্ফোরক হয়ে বৃদ্ধা এক রাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সাংবাদিকদের ক্যেমেরার সামনে।
একজন বিধায়ক হয়ে এধরণের ব্যবহার, ইনি নাকি জনগণের জন্যে কাজ করবেন? বিজেপি দল নিজেদের আদর্শ নিয়ে একদিকে ঢাক ঢোল পিটিয়ে বড়াই করে বেরাচ্ছেন। আর যাদব বাবুদের মতো কতিপয় লোকজন দলের নাম কে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার কাজ করছেন। এখনো কি চুপ থাকবে রাজ্য বিজেপি? উত্তরের অপেক্ষায় আছেন জনসাধারন ।