Tripura Bishalgarh Crime News : চোরেদের ডেরা খুঁজে বেড় করতে ব্যর্থ বিশালগড় পুলিশ। আর তাদের এই ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়েই দ্বিগুণ সাহসিকতা নিয়ে বিশালগড়ের যত্র তত্র চুরি ছিন্তাই চালিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। তাদের টিকির নাগাল ও পাচ্ছে না বিশালগড় এর থানাবাবুরা। টানা খবরের জেরে এক আধ বার এক দুটো চুরির ঘটনার হেস্তনেস্ত করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঠুঁটো জগন্নাথ বিশালগড় পুলিশ।
এবার বিশালগড়ে চোরেদের হানা দাড়ি চলেছে রঘুনাথপুর এলাকায় । শুক্রবার রাতে রঘুনাথ পুর এলাকার রিপন মিয়ার দোকানে ঘটে এই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা। চোরের দল দোকানে পিন কেটে ঘরে প্রবেশ করে লোহার সামগ্রী নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় লোহার সামগ্রী বাইরে ফেলে পালিয়ে যায়।
শনিবার সকালে রিপন মিয়া দোকান খুলতে এসে দেখতে পান এই ঘটনা । তা দেখে ব্যবসায়ী রিপন মিয়া হতবাক হয়ে পড়েন। রিপন মিয়া সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান বিশালগড়ে ঘটে যাওয়া একটি চোর কেও ধরতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন।
বিশালগড় থানা এখন গোপন রফাদফার আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলেও নিত্যদিন অভিযোগ উঠে আসছে। এই হলো বিশালগড়ের প্রশাসনিক বাস্তবতা। বিশালগড় বাসী বর্তমানে চোর ও ছিন্তাই কারীদের আতঙ্কে রীতিমত ঘুম কামাই করছেন।
মাস কয়েক পূর্বে বিশালগড় মহিলা থানার ওসি সাহেবার নিজস্ব গাড়ি ছিন্তাই এর ঘটনার পরপরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আচমকা বিশালগড় থানা পরিদর্শনে আসেন এবং ওসি সঞ্জিত সেন সহ জেলা পুলিশ সুপার কেও কড়া বার্তা দিয়ে যান। যাতে বিশালগড় মহকুমা সহ গোটা সিপাহিজলা জেলায় প্রশাসনিক পরিকাঠামো গত উন্নয়ন হয়। কিন্তু কোথায় মুখ্যমন্ত্রীর কথা, আর কোথায় পুলিশ বাবুদের কাজ।
দিন কয়েক আগে আমবাগান এর একটি চুরির ঘটনার রফা দফা করার খবর উঠে এলেও বিশালগড়ে দিনের পর দিন যে চুরি কাণ্ড ঘটে চলেছে তার পেছনে মূল গ্যাং টি কারা পরিচালনা করছে সেই মাস্টার মাইন্ড দের কেই খুঁজে বেড় করতে পারছে না পুলিশ।
এদিকে বিশালগড়ে নেশার রমরমা বাণিজ্যের ফলেই এই চুরির মাত্রা ক্রমশও বাড়ছে বলেও অভিযোগ উঠে আসছে। তবে সার্বিক ভাবে বিশালগড়ে অপরাধের মাত্রা কমিয়ে আনতে পুলিশের ভূমিকা একেবারেই যে পর্যাপ্ত নয় সেটা নিয়ে সন্দেহ নেই। বর্তমানে পুলিশের এহেন নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ।



