Tripura Bengali News : মাসে ৩০ দিন, বছরে ৩৬৫ দিন আপাদমস্তক ঘাম ঝরিয়ে অবশেষে নিজের প্রাপ্য বেতন টুকু চাইতে হয় হাতে থালা নিয়ে পথে বসে। হ্যা, এই ঘটনা একেবারে সত্য এবং এটা আপনার আমার ত্রিপুরা রাজ্যের ঘটনা। থালা নিয়ে ভিক্ষার কৌশলে পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে ধর্নায় বসতে হলো সাফাই কর্মীদের। জানা গেছে মেলাঘর পুর নিগমের অধীন যতজন সাফাই কর্মী রয়েছেন তারা গত ৫ মাস ধরে তাদের ন্যায্য বেতন থেকে বঞ্চিত। যে সাফাই কর্মীরা পুর নিগমের অধীনে সাফাই কাজ করে তারা নিজেদের সংসার প্রতিপালন করে থাকেন মাসের শেষে যে কয়টা টাকা তাদের একমাত্র ভরসা, সাফাই কর্মীদের সেই বেতন থেকে বঞ্চিত রেখেছে মেলাঘর পুর নিগম। পুর নিগমের আধিকারিকদের দরজায় দরজায় গিয়ে একাধিকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সাফাই কর্মীদের তাদের ন্যায্য বেতন মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
অথচ পুরো নিগম মেলাঘরবাসীর কাছ থেকে প্রতি মাসে খাজনা ঠিক ঐ আদায় করে নিচ্ছে । কিন্তু যারা মেলাঘরকে প্রতিদিন সাফাই করার মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখছেন সেই সাফাই কর্মীদের সাথেই পুর নিগমের এই ধরনের আচরণ! সাফাই কর্মীরা, গত ৫ মাস ধরে তাদের ন্যায্য বেতন না পেয়ে তাদের সংসার প্রায় অচল হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা। কিন্তু তারপরেও মেলাঘর পুরনিগম তাদের ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দিচ্ছে না। মেলাঘর পুর নিগমের মিথ্যে আশ্বাস এর দিন গুনতে গুনতে অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাধ্য হয়ে সাফাই কর্মীরা মেলাঘর পুর নিয়ম কার্যালয় অফিসে থালা নিয়ে ভিক্ষা চাওয়ার মাধ্যমে ধরনায় বসেন। তাদের দাবি তাদের ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দিতে হবে।
সুশাসন আর উন্নয়নের বড়ো বড়ো ফ্লেক্স ফেস্টুনে সরকারের বাহবা ছেপে দিলেই কি আর বাস্তব চিত্র মুছে ফেলা যায়?
একদিকে রাজধানীতে পুর নিগমের হাত ধরে একের পর এক উন্নয়ন মূলক কাজের ছবি সামনে আসছে তো অন্য দিকে বেহাল দশায় ধুঁকছে। মেলাঘরের মতো এমন বহু পুর নিগম তাদের দায়িত্বে ফাঁকি দিয়ে চলেছে দিনের পর দিন। হয়তো সর্বত্র প্রতিবাদের ভাষা প্রকাশ পায় না বহু অজানা কারণে। কিন্তু মেলা ঘরের সাফাই কর্মীরা সাহস দেখিয়ে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। যার ফলে রাজ্যের আপামর জনসাধারণের পাশাপাশি সরকারের দৃষ্টি ও আকর্ষিত হয়েছে। এবার দেখার বিষয় সাফাই কর্মীদের প্রাপ্য দাবি পূরণে কতটা সময় নেয় মেলাঘর পৌর নিগম।